নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভোলাব ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শরীফ বাহিনীর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির সদস্য নবায়ন কর্মসূচি থেকে ফেরার পথে ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি আব্দুস সাত্তারসহ ৮ নেতাকর্মীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার টাওড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হামলার শিকার মামলার বাদী যুবদল নেতা আব্দুস সাত্তার জানান, ভুলতা এলাকায় রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য নবায়ন ও প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহের উদ্বোধন অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে ভোলাব ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার শরীফের নেতৃত্বে স্থানীয় সন্ত্রাসী আবু মিয়া, ডালিম, মামুন, আব্দুল্লাহ,হিমেলসহ ২৫ থেকে ৩০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা করে৷ এ সময় তাদের হাতে থাকা হকি, রাম দা, রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে ৮ জনকে জখম করে গুরুতর আহত করে। আহতরা ভোলাব ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সোহেল মাহমুদের সমর্থক হওয়ায় প্রতিহিংসাবশত এমন হামলার শিকার হয়েছেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা ।
আহতরা হলেন, ভোলাব ইউনিয়ন যুবদল ১নং ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুস সাত্তার, ওয়ার্ড যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, যুবদল নেতা মাহবুব, শ্রমিকদল নেতা প্রতিবন্ধি মোজাম্মেলসহ আরও ৪ জন। এ সময় সভায় যাতায়াতের বাস ভাঙচুর, আহতদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ও নগদ টাকা লুটে নেয় হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। আহতরা ঢাকা মেডিকেল ও পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হামলার শিকার অপর ভুক্তভোগী যুবদল নেতা হযরত আলী বলেন, শরীফ মেম্বার বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের দোসর সাবেক এমপি গাজীর বিশ্বস্ত হিসেবে পরিচিত সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের সঙ্গে সখ্যতা করে এলাকায় আধিপত্য ও জোরপূর্বক নিরীহ কৃষকের মাটি বিক্রি করে জুলুম অত্যাচার করতো। ৫ আগস্টের পর নিজেকে ইউনিয়ন বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক পরিচয় দিয়ে স্থানীয় লোকজনকে এমনকি বিএনপির ত্যাগি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে ত্রাস সৃষ্টি করা শুরু করে। গত মঙ্গলবার তার মিছিলে না গিয়ে অন্য নেতার মিছিলে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ২ জনকে কুপিয়ে আরো ৬ জনকে পিটিয়ে জখম করে।
এ ঘটনায় আহতরা রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে অবস্থা গুরুতর হলে ঢাকা মেডিকেল ও পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শরীফ মেম্বারের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে তা তদন্তপূর্বক মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নেওয়া হবে।
কেকে/এএস