জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সনদ ও প্রশংসাপত্র প্রদানের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম সুইটের বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ সংক্রান্ত ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটির তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে উপজেলা প্রশাসন।
এদিকে, সোমবার (১৪ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তিলকপুর আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ‘তিলকপুর সচেতন নাগরিক’-এর ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালিত করছিলো তারা।
কর্মসূচি চলাকালে দুপুর আড়াইটার দিকে স্কুলের মেইন গেটে তালা লাগিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলের ভেতর অবরুদ্ধ করে রাখেন অবস্থানকারীরা। পরে স্কুলের তালা খুলে দেন তারা। খবর পেয়ে দ্রুত সেনাবাহিনী ও পুলিশ তিলকপুর বালিকা বিদ্যালয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে অবস্থানকারীদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
এদিকে অবস্থানকারীরা বলছেন, বিগত কয়েকদিন থেকে প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলামের সুইটের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিল তারা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দফতর ও প্রশাসন সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাই তারা প্রশাসনের দৃষ্টিতে বিষয়টা নিয়ে আসার জন্য স্কুলের মেইন গেটে লাগিয়ে দেয়।
এ সময় অবস্থানকারীরা স্কুলে বন্ধ করে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবরুদ্ধ করে রাখাকে তাদের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে।
এর আগে, গতকাল রোববার এক মানববন্ধন শেষে তিলকপুর মুক্তমঞ্চ থেকে ওই প্রধান শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে আমিরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, সনদ, প্রশংসাপত্রসহ যাবতীয় টাকা রসিদের মাধ্যমে আদায় করা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু অর্থ বিদ্যালয়ের হিসাবে জমা করা হয়েছে। আর বাকি টাকা বিধি মোতাবেক খরচ করা হয়েছে। কিছু ব্যক্তি আমার কাছে টাকা দাবি করেছিলেন, কিন্তু তাদের কোনো টাকা পয়সা দিইনি। এ কারণে হয়ত কেউ আমার বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য লোকজন লেলিয়ে দিয়েছেন।
আক্কেলপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাবেদ ইকবাল হাসানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে চলতি সপ্তাহে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
কেকে/এএম