নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বড়ভিটা আফজালুল উলুম (এইউ) বহুমুখী ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একাধিক ভুক্তভোগীসহ এলাকাবাসী।
সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে মাদ্রাসা সংলগ্ন বড়ভিটা ইউনিয়নের উত্তর বড়ভিটা বিন্ন্যাকুড়ি এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ও মাদ্রাসায় নিয়োগপ্রাপ্ত এমএমএলএস মো. মনারুল ইসলাম, আয়া পদে নিয়োগপ্রাপ্ত লায়লা আক্তারের স্বামী মামুনুর রহমান ও রহিদুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এমএলএসএস পদে মনারুল ইসলামের কাছে ১২ লাখ টাকা, আয়া পদে লায়লা আক্তারের কাছে ১৪ লাখ টাকা গ্রহণ পূর্বক ৯ অক্টোবর ২০১৫ সালের নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডেও সুপারিশ ও গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১২ অক্টোবর ২০১৫ সালে নিয়োগপত্র প্রদান করে।
তিনি আরো বলেন, নিয়োগপত্রের আলোকে ১৩ অক্টোবর ২০১৫ তারিখ অত্র প্রতিষ্ঠানে যোগদান করে নিয়মিত চাকুরি করে আসছি। দীর্ঘদিন ধরে বেতন না হওয়ায় আমাদের সন্দেহ হয়। পরে জানতে পারি এমএলএসএস পদে অধ্যক্ষ তার নিকট আত্মীয় ও আয়া পদে অন্য একজনকে এমপিও সিটে নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। দীর্ঘ পাঁচ বছর চাকুরি করার পরও আমাদের সাথে প্রতারণা করে অন্যদের নিয়োগ প্রদান ও এমপিও সিটে নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদ করা হলে অধ্যক্ষ অহিদুল ইসলাম আমাদের বিভিন্ন হুমকি প্রদান করে। আমরা আপনাদের মাধ্যমে চাকুরি ফেরত অথবা টাকা ফেরতসহ প্রতারক অধ্যক্ষ অহিদুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
কেকে/এএম