ঢাকার সূত্রাপুর কাগজিটোলা এলাকার একটি বাসায় ‘গ্যাসের লিকেজ’ থেকে হওয়া বিস্ফোরণে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন; তাদের মধ্যে দেড় বছরের এক শিশুও আছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দিবাগত রাত ২টার দিকে এ ঘটনার পর দগ্ধদের উদ্ধার করে রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বর্তমানে তারা আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানিয়েছেন।
দগ্ধরা হলেন—ভ্যানচালক রিপন (৩৫), তার স্ত্রী মোছা. চাঁদনি (৩২), তাদের সন্তান মো. তামিম (১৬), মো. রোকন (১২) ও মোছা. আয়েশা (১ বছর ৬ মাস)।
চিকিৎসক শাওন বিন রহমান বলেন, রিপনের শরীরের ৬০ শতাংশ, চাঁদনীর ৪৫, তামিম ৪২, রোকন ৬০ ও আয়শার ৬৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে, সঙ্গে শ্বাসনালীও দগ্ধ হয়েছে।
তাদের সবার অবস্থা আশংকাজনক।
আহতদের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালি থানাধীন জুগির হাওলা এলাকায়। পরিবারটি কাগজীটোলা দেবেন্দ্র দাস লেনের ৩২/১ নম্বর ৫ তলা ভবনের নিচ তলার ওই বাসাটিতে ভাড়া থাকেন।
রিপনের মামা জাকির হোসেন জানান, রাতে সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন, এমন সময় হঠাৎ করেই বাসায় বিস্ফোরণ থেকে লাগা আগুনে তারা পুড়ে যান। আগুনে বাসার আসবাপত্রও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পরে আশপাশের ভাড়াটিয়ারা তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
তার ধারণা, ‘গ্যাস লিকেজ’ থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে।
সূত্রাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদ হাসান নাঈম বলেন, জমে থাকা গ্যাসের সঙ্গে মশার কয়েল অথবা সিগারেটের আগুন থেকে এই ঘটনা ঘটতে পারে।
আগুনের ঘটনায় ১ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কেকে/এএম