ফরিদপুরে হা-মীম গ্রুপের প্রধান ও দৈনিক সমকালের প্রকাশক এ কে আজাদের বাড়িতে হামলা, পটিয়া ও পাটগ্রাম থানায় বিএনপির স্থানীয় নেতা কর্মীদের পুলিশ সদস্যদের উপর হামলা ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, কোনো যুক্তিতেই এসব হামলা আক্রমণকে অনুমোদন করা যাবেনা।
শুক্রবার (৪ জুলাই) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
সাইফুল হক বলেন, যে যুক্তিতে ফরিদপুরে এ কে আজাদের বাড়িতে বিএনপির নেতা কর্মীরা চড়াও হয়েছে তা উদ্ভট ও হাস্যকর। এ কে আজাদের বাড়িতে ‘আওয়ামী লীগের গোপন মিটিং’ এর ধুয়ো তুলে বাড়িতে চড়াও হওয়া সন্ত্রাসী তৎপরতা ছাড়া আর কিছু নয়। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনে একইরকম অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বিএনপিসহ বিরোধী দলসমূহের নেতা কর্মীদের বাড়ি হামলা করতো।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির নেতা কর্মীদের পুলিশী ভূমিকায় আবির্ভূত হওয়ার কোন অবকাশ নেই। এ ধারা চলতে দিলে বিদ্যমান সামাজিক নৈরাজ্য দ্রুত রাজনৈতিক নৈরাজ্যের চেহারা নেবে। পটিয়া ও পাটগ্রাম থানায় বিএনপির পরিচয়ে যারা হামলা, ভাংচুর চালিয়ে আসামিদের ছিনিয়ে নিয়েছে রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে এসব সন্ত্রাসী তৎপরতা বিবেচনা করা যাবেনা। মব সন্ত্রাসের কথা বলেও এসব তৎপরতা আড়াল করা যাবেনা। উত্তরায় হোটেলে ঢুকেও নারীদের উপর হামলা করা হয়েছে।
তিনি ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন, ‘গত এগারো মাসে মব জাস্টিসের নামে অসংখ্য সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটানো হয়েছে। অনেকগুলো ঘটনার সাথে সরকারের মধ্যকার নানা অংশের ইন্ধন যোগানোর গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্র শ্রমিক জনতার অভূতপূর্ব গণ- অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে দেশজুড়ে এ ধরনের সন্ত্রাসী নৈরাজ্যিক তৎপরতা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা যাবেনা।
তিনি অনতিবিলম্বে এইসব হামলা আক্রমণের ঘটনায় অভিযুক্তদের দলীয় পরিচয় বিবেচনায় না নিয়ে তাদের গ্রেফতার, কঠোর ব্যবস্থা ও আইনানুগ বিচার দাবি করেছেন। একইসাথে তিনি মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিরোধ জোরদার করারও আহ্বান জানিয়েছেন।
কেকে/ এমএস