নেত্রকোনার মদন উপজেলার আরগিলা গ্রামের অটোরিকশা চালক রাসেল মিয়া (২৫) নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) কেন্দুয়া উপজেলার কাঞ্জারখালে বস্তাবন্দি অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গত ৩০ জুন সকালে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি রাসেল। তার বাবা আবুল মিয়া ও মা রাহেলা আক্তার জানান, সেদিন সকাল ১০টার দিকে ছেলেকে শেষবারের মতো মদন বাজারের দিকে যেতে দেখেছেন। দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেলে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাননি তারা। এরপর ২ জুলাই মদন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন আবুল মিয়া।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মাত্র ছয় দিন আগে রাসেলের ঘরে জন্ম নিয়েছে একটি কন্যাসন্তান। এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক রাসেল ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। প্রায় দুই লাখ টাকা ঋণ করে অটোরিকশাটি কিনেছিলেন তিনি। পরিবারের পক্ষে সেই ঋণ শোধ করা এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
মা রাহেলা আক্তার বলেন, আমার রাসেলের কোনো শত্রু ছিল না। কেন মারল ওরে? আমি বিচার চাই। আমি ফাঁসি চাই। এখন ভিক্ষা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নাই।
বাবা আবুল মিয়া বলেন, রাসেল আমাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করত। এখন কীভাবে চলব—কিছু বুঝতে পারছি না।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, নিখোঁজ রাসেলের লাশ কেন্দুয়া উপজেলার কাঞ্জারখাল এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে সেখানকার থানা পুলিশ। এ ঘটনায় কেন্দুয়ায় একটি হত্যা মামলা হবে।
কেকে/এএম