সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর বাজারে টহলরত সেনাবাহিনীর সদস্যদের ওপর চোরাকারবারিদের হামলা মামলায় চিহ্নিত স্মাগলার ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক ফারুক আহমদ উরফে সুইট ফারুক সহ ১০ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৯ জুন) সকালে আসামিরা সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। যাহার ফৌজদারি বিবিধ মামলা নং ৩১২২১ অফ স্পিড ২৯.০৩.২০২৫ জি.আর নং ৫৮/২০২৫

কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন, জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলার চিহ্নিত স্মাগলার উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক ফারুক আহমদ উরফে সুইট ফারুক, চিহ্নিত স্মাগলার ফতেপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আজির রহমান, হরিপুর বাজার কমিটির সভাপতি ও চোরাকারবারের সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ, চোরাকারবারি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদ, চোরাকারবারি ও আওয়ামীলীগ নেতা আমির উদ্দিন, চোরাকারবারি ফখরুল ইসলাম, চোরাকারবারি শাহিন আলম, চোরাকারবারি আব্দুর রফিক (লুদাই) এর ছেলে ইসমাইল, মাসুক আহমদ, মুতলিব।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আসামিপক্ষের আইনজীবী নিজাম উদ্দিন বলেন, আব্দুর রশিদ সহ ১০ জন উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। আজ সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত (২৭ মার্চ) রাত ১২টার দিকে জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর বাজার এলাকায় সেনাবাহিনীর একটি টহল দল ভারতীয় চোরাই মহিষ জব্দ করে ক্যাম্পে নিয়ে আসার পথে একদল চোরাকারবারি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে কয়েকজন সেনাসদস্য গুরুতর আহত হন এবং তাদের বহনকারী গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার পরদিন জৈন্তাপুর মডেল থানায় ৭০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।

কেকে/ এমএস