গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, দেশে নতুন গণতান্ত্রিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যাতে জনগণ, রাষ্ট্র, সমাজ সবক্ষেত্রে গণক্ষমতায়ন হয়, ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা হয়।
বৃহস্পতিবার(২৬ জুন) বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে উপজেলার ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নে দলীয় কার্যালয় উদ্ধোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
উদ্ধোধন শেষে এক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে যেয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, রাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়ে এখনো ঐকমত্য হয়নি। এ বিষয়ে নতুন একটি প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবিধানের মূলনীতিতে কী কী অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে, সে বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের সাথে আলোচনা হয়েছে। সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সুবিচার, গণতন্ত্র এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও পক্ষপাতহীনতা—এই পাঁচ বিষয়কে সমর্থন করেছেন তারা।
জোনায়েদ সাকি বলেছেন, দেশে নতুন গণতান্ত্রিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রের সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে গণতান্ত্রিক করে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক সংস্কার ও রূপান্তর ঘটাতে হবে। যাতে জনগণ, রাষ্ট্র, সমাজ সবক্ষেত্রে গণক্ষমতায়ন হয়, ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা হয়।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ভবিষ্যতে অন্তত এই পাঁচ বিষয় সংবিধানে থাকতে হবে—এই রকম একটি ঐকমত্যে পৌঁছানোর বিষয়ে তিনি আশাবাদী।
জনগণের বৃহত্তর স্বার্থের বাইরে গণসংহতি আন্দোলনের আর কোনো স্বার্থ নাই উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা দেশের মানুষের মর্যাদা, সামাজিক অর্থনৈতিক মুক্তি, ভোটাধিকারসহ জনগণের সার্বিক মুক্তির জন্য সংগ্রাম করছি। এই রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষা জনগণকে রক্ষা করতে ভূমিকা নিতে হবে। ভারতের আধিপত্য আগ্রাসন পুনরায় ফিরতে দেওয়া হবে না।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সমন্ধয়ক শামিম শিবলী ছাড়াও সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন মাতু ডাক্তার, মো. রকিবুল ইসলাম, মহিউদ্দিন, আল আমিন মাস্টার, রাকিব মাস্টার, মো. ইলিয়াস, মো. মাঈনুদ্দিন, মো. মোস্তাক, আব্দুর রিশিদ, মো. সুজন, বাবুল সরকার, মো. মানিক মিয়া প্রমুখ।
কেকে/এজে