জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ছাত্রী হলসহ দুইটি বিভাগের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। বিশ্বিবদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল-এর ৭৪তম সভা ও ১০১তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড মো শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত প্রথক তিনটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ১০১তম সিন্ডিকেট সভায় ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হল’ রাখা হলো। এছাড়া ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন’ এবং ‘ভাষ্কর্য’ বিভাগের নাম পরিবর্তন করে যথাক্রমে ‘আইন ও ভূমি প্রশাসন’ এবং ‘ত্রিমাত্রিক শিল্প ও নকশা’ করার সুপারিশ অনুমোদন করা হলো।
এর আগে, গত ৬ ফেব্রুয়ারিতে খুলে ফেলা হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে একমাত্র ছাত্রী হলের নাম ফলক। এ সময় নতুন নাম হিসেবে ‘নওয়াব ফয়জুন্নেসা ছাত্রী হল’, ‘ফেলানী ছাত্রী হল’, ‘মাহমুদা স্মৃতি হল’, ‘রিয়া গোপ ছাত্রী হল’ নাম রাখার প্রস্তাব দেন শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া গত ১৬ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
ভাস্কর্য বিভাগের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে ‘ত্রিমাত্রিক শিল্প ও নকশা’ বিভাগের চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন বলেন, বিভাগের নাম পরিবর্তন অবশ্যই গ্লোবাল মার্কেটে অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আমরা আশাবাদী। তবে এ মুহুর্তে আমাদের লজিস্টিক সাপোর্ট দরকার। এ মুহুর্তে আমাদের একটি কম্পিউটার ল্যাব দরকার। যাতে করে আমাদের শিক্ষার্থীরা থ্রী ডি আর্ট এর বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারে। আমরা বিভাগকে শুধু ভাস্কর্য ও ইতিহাস বিষয়গুলোর পরিমন্ডলে না রেখে ডিজিটাললাইজেশনে রূপ দিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও অবদান রাখতে পারবো বলে আশা করি।
ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. খ্রীষ্টিন রিচার্ডসন বলেন, ‘অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিভাগের নাম ‘আইন ও ভূমি প্রশাসন’। কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন’ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিভ্রান্ত হন। তারা মনে করেন এই বিভাগে আইন পড়ানো হয় না। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি ও স্মারকলিপি জমা দেওয়ার প্রেক্ষিতে আজকের সিন্ডিকেট সভায় নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এদিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দা ইসরাত নাজিয়া-কে চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি আগামী রোববার (২৯ জুন) থেকে পরবর্তী ৩ বছরের জন্য এ দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে যানবাহনে যাতায়াতকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে। ফলে অনেক ছাত্র-ছাত্রী ক্লাসে মনোনিবেশ করতে পারছে না। এধরনের কার্যক্রম র্যাগিং এর পর্যায়ে পড়ে। যা শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। পরবর্তীতে এ ধরণের কার্যক্রম অর্থ্যাৎ র্যাগিং এর সাথে জড়িত প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়ম অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
কেকে/ এমএস