নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কুদ্দুস মিয়া (৬০) ও মেহেদী (৩৫) নামের দুজন খুন হয়েছেন। সংর্ঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। নিহত কুদ্দুস বন্দরের হাফেজীবাগ এলাকার বাসিন্দা। শনিবার রাতে উপজেলার শাহী মসজিদ এলাকায় এঘটনা ঘটে।
শনিবার (২১ জুন) রাত সাড়ে এগারোটায় বন্দর সিরাজুদ্দৌলা ক্লাব মাঠ দিয়ে মেহেদী ও তার লোকজন যাওয়ার পথে রনি-জাফর গ্রুপের লোকজন ধাওয়া দিয়ে মেহেদীকে ধরে গণপিটুনি ও ছুরিকাঘাতে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শহরের খানপুর ৩শ’ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় রোববার (২২ জুন) দুপুরেই কুদ্দুস হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত শান্ত (২৫) ও রবিন (২৮) নামের দুজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
স্থানীয়রা জানায়, বন্দর রেললাইন অটোস্ট্যান্ড দখল নিয়ে গত কয়েকদিন যাবৎ সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা হান্নান সরকারের সমর্থক বাবু-মেহেদী এবং সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশার সমর্থক রনি-জাফর গ্রুপের মধ্যে মারামারি, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষ চলে আসছিল। রাতে মেহেদীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী জাফর সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় দুগ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার একপযার্য়ে কুদ্দুসকে ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুগ্রুপের সংঘর্ষের জেরে উভয়পক্ষের ছুরিকাঘাতে কুদ্দুস ও মেহেদী নামে দুজন নিহত হয়েছে। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। সেখানে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
কেকে/এএস