সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অডিও ফাঁসের ঘটনার জেরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম-আহ্বায়ক ডা. তাজনূভা জাবীনকে নিয়ে ‘মিথ্যাচার ও প্রোপাগান্ডা’ চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক (দফতর) সালেহ উদ্দিন সিফাতের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগ তুলে দলটি জানিয়েছে, এ ঘটনায় কিছু ‘অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও পতিত ফ্যাসিবাদী দলের নেতাকর্মীরা’ জড়িত।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। অতীতেও এনসিপির নারী নেত্রীদের লক্ষ্য করে একই ধরনের কুরুচিপূর্ণ ও যৌন হয়রানিমূলক অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এটি নারীর প্রতি অবমাননার বহিঃপ্রকাশ এবং তাদের রাজনৈতিক কর্তাসত্তা অস্বীকার ও পরিসর সংকুচিত করার পরিকল্পিত প্রয়াস।’
এনসিপির ভাষ্য, ‘দীর্ঘ দেড় যুগের গুম, খুন, ধর্ষণ ও ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের পর’ জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসরে নারীরা নিজেদের কর্তাসত্তা পুনরুদ্ধার করেছেন। আর এই পটভূমিতে নারীদের নেতৃত্বকে বাধাগ্রস্ত করতে ‘পুরোনো রাজনৈতিক বন্দোবস্তের সমর্থকরা’ অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়, ‘এমনকি ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক পক্ষগুলোর কিছু নেতাকর্মীও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই অপপ্রচারে অংশ নিচ্ছেন। পাশাপাশি কিছু অনলাইন মিডিয়া ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব দায়িত্বহীনতা ও অপেশাদারিত্ব দেখিয়েছেন।’
এনসিপি দাবি করে, দেশের একটি মূলধারার দৈনিক পত্রিকা ‘ইঙ্গিতপূর্ণ ফটোকার্ড’ প্রকাশ করেছে, যাতে তাজনূভা জাবীনকে আরো ‘অরক্ষিত’ করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে অযাচিত মন্তব্য উসকে দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে নারীদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে এনসিপি অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু নারীদের নেতৃত্বকে বাধাগ্রস্ত করতে পরিকল্পিত নিপীড়ন ও অপমানমূলক ক্যাম্পেইন চালানো হচ্ছে।’
এনসিপি নারীদের প্রতি এ ধরনের নিপীড়ন ও যৌন হয়রানিমূলক ক্যাম্পেইনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। এ ক্যাম্পেইন অব্যাহত থাকলে আগামীতে অনলাইন-অফলাইনে নারী নির্যাতক ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা সর্বশক্তি দিয়ে তাদের মোকাবিলা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।
কেকে/এএম