প্রায় দুই কোটি টাকার রেইন গজ মিটার স্থাপনে অনিয়মের অভিযোগে মাদারীপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে দুদকের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামানের নেতৃত্বে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে স্থপিত রেইন গজ মিটার পরিদর্শণ করেন।
দুদক অফিসের তথ্য মতে, কৃষকদের আগাম তিন দিনের আবহাওয়ার বার্তা দেয়ার জন্য মাদারীপুরের ৬০টি ইউনিয়নে বসানো হয়েছিল একটি করে রেইন গজ মিটার। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বসানো এই রেইন গজ মিটার অনেক জায়গা থেকে উধাও হয়ে গেছে। আবার কোথাও নষ্ট হয়ে গেছে সব যন্ত্রপাতি।
তদারকির অভার আর স্থাপনে অনিয়নের কারণে দুই কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্প কৃষকদের কোন কাজেই আসেনি। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দোষীদের বিচার দাবি করে প্রান্তিক চাষিরা। তারই প্রেক্ষিতে দুদক মাদারীপুর জেলা কার্যালয়ের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সন্তোষ চন্দ চন্দ্রের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য চাওয়া হয়। কিন্তু তিনি কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। সময় নিয়ে কাগজপত্র দেখাবে বলে জানিয়েছেন। পরে সদর উপজেলার মস্তফাপুর, ঘটমাঝি, কালকিনির কয়েকটি ইউনিয়নে বসানো রেইন গজ মিটার পরিদর্শণ করেন।
দুদক মাদারীপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে জেলার ৬০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫৬টি ইউনিয়নে বসানো হয় আগাম পূর্বাভাসের যন্ত্রটি। তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত, ঝড়ের পূর্বাভাস, আলোকঘণ্টাসহ ১০টি বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ ও তা কৃষকদের মাঝে প্রকাশের জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় রেইন গজ মিটার অর্থাৎ আবহাওয়ার অগ্রিম পূর্বাভাস যন্ত্র। জেলার সবগুলো যন্ত্রই এখন বিকল। এই ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরর দাবি তুলেছেন প্রান্তিক চাষিরা। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/এআর