গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ি ইউনিয়নের মেছট গ্রামে জমি নিয়ে বিবাদে আব্দুল্লাহ গংরা আব্দুর রহিমের বসতবাড়ি ভাঙচুর লুটপাট করেছেন। নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের হুমকি ও ভয়ে বাড়ি ছাড়া এ পরিবারটি। বর্তমানে আব্দুর রহিম পরিবার পরিজন নিয়ে কামারপাড়া গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছেন।
অভিযোগ পত্রে জানা যায়, সাঘাটা উপজেলার জুমার বাড়ি ইউনিয়নের মেছট গ্রামের মৃত আকবর হোসেনের ছেলে মো. আব্দুর রহিম সঙ্গে তার ভাই মো. আব্দুল্লাহ (৪২) জায়গা জমি নিয়ে বিবাদ চলে আসছিল।
আব্দুল্লাহ, মহাসিনা বেগম, আরিফ হোসেন, সুমাইয়া আক্তার আইভি, উভয়ের পিতা. আব্দুল্লাহ গ্রাম. মেছট। আব্দুর রহিম খন্দকার, রবিউল খন্দকার, মহিলা বেগম, উভয়ের পিতা. মন্তেজার রহমান মন্টু খন্দকার, গ্রাম, রশিদপুর বাউলিয়া থানা, সোনাতলা, জেলা, বগুড়া। সাখাওয়াত হোসেন, আব্দুল বাতেন, উভয়ের পিতা মৃত, সোলেমান। ওবায়দুর রহমান পিতা মৃত কামাল শেখ গ্রাম, মেছটসহ অন্তত আরো ৮/৯ জনের সঙ্গে জায়গা জমি নিয়ে মামলা মোকদ্দমা দ্বন্দ্ব বিরোধ হইলে আব্দুর রহিম ২টি মামলা করে। মামলা নং জি, আর ৫৮ /২০ জি আর নং ০৮/২২।
এ বিষয় নিয়ে আব্দুর রহিমকে মিথ্যা মামলা ও মারপিট খুন জখমের হুমকি দিয়ে আসছিলেন আব্দুল্লাহ গংরা।
উল্লিখিত আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দলবদ্ধ হয়ে ঘটনার দিন গত ০৪/০৬/২০২৫ ইং তারিখে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে আব্দুর রহিমের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরে থাকা ফ্রিজ, টিভি, শোকেস, টেবিল, ওয়ারড্রপ, গ্যাসের চুলাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র জমি বন্ধকের নগদ ২ লক্ষ টাকা।
এ বিষয়ে সাঘাটা থানায় অভিযোগ করা হলে পুলিশ তদন্ত করলেও। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা রেকর্ড করেনি। এদিকে আব্দুর রহিমের পরিবার আব্দুল্লাহ গংদের ভয়ে কামারপাড়া গ্রামের তার শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছেন।
১৫ জুন রোববার আব্দুর রহিম বাজিত নগর বাজারে আসলে আব্দুল্লাহ নির্দেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ক্যাডারবাহিনীরা তাকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশে ধাওয়া করে। সে দৌড়ে পালিয়ে কোন মতে প্রাণে রক্ষা পায়। বর্তমানে আব্দুর রহিমের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। পুলিশ প্রশাসন তাকে কোন প্রকার সহযোগিতা করছেন না বলে জানান আব্দুর রহিম।
এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিষয়টি তাদের ভাই ভাইয়ের মধ্যে। আব্দুর রহিম ও আব্দুল্লাহ এর মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে বিবাদ চলে আসছে। সাঘাটা থানা অফিসার ইনচার্জ বাদশা আলম জানান, বিষয়টি আমি তদন্ত করেছি, কেউ সাক্ষী দেয় না। এটা মামলা নেওয়ার মতো না।
কেকে/এএস