বর্তমান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ফেতনা হচ্ছে চাঁদাবাজি। সমাজের সর্বস্তরে একটি মহল চাঁদাবাজি করছে প্রতিনিয়ত। জামায়াতে ইসলামী একটি সুসংগঠিত দল। এ দলের নেতাকর্মীরা কেউ মাদক, চাঁদাবাজি, দখলদারি, টেন্ডারবাজিসহ কোনো ধরনের সামাজিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত নয়। সব ফেতনা থেকে দেশকে মুক্ত করতে কুরআনের আইন প্রতিষ্ঠা জরুরি। তাই কুরআনের বাণী ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া প্রত্যেক মুমিনের ওপর ফরজ।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে আক্কেলপুরে পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হলরুমে জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা যুব ও ওলামা বিভাগের সমাবেশে এসব কথা বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরা সদস্য ও জেলা শাখার আমির ডা. মো. ফজলুর রহমান সাঈদ।
জেলা আমির ফজলুর রহমান সাঈদ বলেন, ইসলাম মহান আল্লাহর মনোনীত ধর্ম। ইসলাম শুধু মসজিদের ভিতরে সীমাবদ্ধ নয়। সমাজের সর্বস্তরে ইসলামি শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে হবে। কুরআন আল্লাহর বাণী। তাই কুরআনের বিধান ছাড়া মনুষ্য তৈরি সব বিধানই বাতিল। আগামী দিনে কুরআনের আইনে দেশ পরিচালিত হবে। আমরা বহুদিন পর অনুকূল পরিবেশ পেয়েছি, তাই পবিত্র কুরআনের বাণী প্রত্যেক ঘরে পৌঁছাতে হবে। আলেম ওলামাদের ইসলামের সুমহান বাণী প্রচার করতে হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পাপের ভার পূর্ণ হওয়াই তাদের দলবলসহ পালিয়ে যেতে হয়েছে। ভারতের নির্দেশে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ ১১ জন নেতাকে ফাঁসি দিয়েছে। নির্বিচারে বহু আলেম ওলামাদের হত্যা, গুম করেছে। ৫ই আগস্টের আগ পর্যন্ত ন্যায্য অধিকার আদায়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তারা ইসলামকে শুধুমাত্র মসজিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চেয়েছিল।
ওলামা ও যুব সমাবেশে ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ, সহকারী সেক্রেটারি এস এম রাশেদুল আলম সবুজ, ওলামা বিভাগের জেলা সভাপতি মাওলানা মাহমুদুল হাসান, আক্কেলপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা শফিউল হাসান দিপু, সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান, সাখাওয়াত হোসেন সুইট, পৌর সেক্রেটারি রিপন হোসেন প্রমুখ।
কেকে/এএস