পাট ও পেঁয়াজের রাজধানী ফরিদপুরের সালথা উপজেলার নিচু এলাকায় এ বছর কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে পাটক্ষেতে পানি জমে যাওয়ায় ও ভ্যাপসা গরমে পাটের গোড়া পচন ধরেছে। কিছু কিছু জমির অপরিপক্ব পাট কাটতে দেখা গেছে। এতে লোকসান গুনতে হবে কৃষকদের।
এ উপজেলায় ৯২ শতাংশ কৃষক পাট চাষাবাদ করে থাকেন। পাটের ফলনও ভালো হয়। তবে, এবার কয়েকদিনের অনবরত বৃষ্টিতে অপরিপক্ব পাটে জমেছে বৃষ্টির পানি। এতে পাটের গোড়া পচার আশঙ্কা করছে কৃষক। এখন কৃষক না পারছে পাট কাটতে, না পারছে জমিতে রাখতে। ফলে কৃষকদের মধ্যে উভয় সংকট দেখা দিয়েছে।
সালথার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদুল আজহার আগের কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে কৃষকের নিচু জমিতে বৃষ্টির পানি জমে আছে। তাইতো পাটের গোড়া পচনধরার সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর জ্বর গজাচ্ছে। তাই কাটা যাচ্ছে না পাট। আবার কাটলেও কোনো ফলন নাই। এতে পাট চাষে লোকসানের মুখে পড়তে হবে কৃষকদের।
সালথার আটঘর ইউনিয়নের খোয়াড় গ্রামের পাটচাষি ভুলু ফকির বলেন, এবার আমরা কয়েক বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। পাট হয়েছিলও মোটামুটি ভালোই। কিন্তু, পাটের মাঝামাঝি সময়ে কয়েকদিনের ধারাবাহিক বৃষ্টিতে অধিকাংশ জমিতে পানি জমে গেছে।
আমাদের পাটের গোড়া পচে যাচ্ছে। তবে, পাট কাটলেও ফলন হবে না। আমাদের মাথায় হাত।
একই ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আছিরদ্দিন মাতুব্বর বলেন, এ বছর ৪ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছি। বৃষ্টির পানিতে পাট খেতে পানি জমে পাটের গোড়া পচন ধরেছে। তাই জালিপাট কেটে ফেলছি। এ পাটের ফলন নাই। এতে অনেক ক্ষতির মধ্যে পড়ে যাব।
সালথা কৃষি অফিস বলছে, হঠাৎ কয়েকদিনের ধারাবাহিক বৃষ্টিতে সালথার অধিকাংশ নিচু জমিতে পানি জমেছে। এতে পাটের গোড়া পচার আশঙ্কা রয়েছে।
কেকে/এএস