দেশ এখন নির্বাচনের পথে। কোরবানির ঈদের আনন্দেও তাই লেগেছে নির্বাচনী রঙ। শুক্রবার (৬ জুন) জাতির উদ্দেশে ভাষণে শান্তিতে নোবেলজয়ী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করার পর থেকেই নির্বাচনী উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে তৃণমূলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনেও এর প্রভাব স্পষ্ট। ঈদ আনন্দের পাশাপাশি সম্ভাব্য প্রার্থীরা পোস্টার-ব্যানার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং ঈদ কেন্দ্রিক নানা আয়োজনের মাধ্যমে নিজেদের জানান দিচ্ছেন। আগামী এক সপ্তাহজুড়ে চলবে গণসংযোগ—এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা।
গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অধিকাংশ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাননি। কিন্তু এবার একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা করছে মানুষ। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তরুণ ভোটাররা হতে পারেন নির্বাচনের গেমচেঞ্জার। এবারের মোট ভোটারের এক-তৃতীয়াংশই হবেন প্রথমবারের মতো ভোট দিতে যাওয়া তরুণ-তরুণী।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার টানা আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। পরে দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ওই সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পান শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূস। তার নেতৃত্বে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে।
বাঞ্ছারামপুর আসনটি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এবারের নির্বাচনেও বিএনপির মনোনয়নের দৌড়ে রয়েছেন অন্তত এক ডজন নেতা। এ ছাড়া গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, জামায়াতে ইসলামি, এনসিপি ও অন্যান্য দলও তাদের প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিএনপি থেকে আলোচনায় রয়েছেন—জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও উপজেলা সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা উপদেষ্টা এম.এ. খালেক, পিএসসি, উপজেলা সাধারণ সম্পাদক একেএম মুছা, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক শিকদার, বিএনপি নেতা ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি ড. সায়েদুজ্জামান কামাল, ডা. রফিকুল ইসলাম খোকন, বাঞ্ছারামপুর কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপি উপদেষ্টা মেজর (অব.) সাইদ, ইঞ্জিনিয়ার দবির উদ্দিন, সাবেক এমপির কন্যা রাইকা ওয়ালী খান, কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউদ্দিন জিয়া, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আনিসুর রহমান সুজন, যুবদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক সারোয়ার হোসেন, জামায়াতের অধ্যাপক দেওয়ান নকিবুল হুদা প্রমুখ।
কেকে/এএম