‘নদী ভাঙন রোধ করো, উজানচরকে রক্ষা করো’- এ শ্লোগানকে সামনে রেখে নদী ভাঙ্গন রোধে মানববন্ধন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের স্থানীয়রা।
রোববার (৮ জুন) সকালে তিতাস নদীর পাড়ের রাধানগরে উজানচর মৌজাস্থ তিতাস তীরবর্তী কয়েকটি গ্রামে ভাঙন দেখা দেওয়ায় ভুক্তভোগীরা এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
জানা গেছে, উপজেলার সাদ্দাম বাজার, রাধানগর, বুধাইরকান্দি ,কালিকাপুরের প্রায় ৩ কিলোমিটার নদী পাড়ের অনেক জায়গা তিতাস গর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকায় রয়েছে। গত একমাস যাবৎ এমন ভাঙনে কয়েকটি গ্রামের বাড়ি-ঘর বিলীন হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে হুমকির মুখে ১৫০ হতে ১৮০ টি পরিবার। গত কয়েকবছর উজানচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জনির নির্দেশনায় আওয়ামী লীগের নেতা আক্তারের নের্তৃত্বে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে শুরু হয় ফসলী জমি, ঘরবাড়ি, সড়ক ভাঙ্গন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ এলাকাবাসী বসতবাড়ি, ফসলি জমি, রাস্তা-ঘাট রক্ষার জন্য আতঙ্কগ্রস্ত লোকজন ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা ছাইদুর রহমান জানান, তিতাস নদী ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে পুরো উজানচর ইউনিয়নের সব গ্রাম হুমকির মুখে পড়বে। এ ছাড়া ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়ি, হাট-বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা তিতাসে বিলীন হবে।
মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের কাছে অভিযোগ জানান।
কৃষিবিদ পলাশ জানান, ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া না হলে তিতাস তীরবর্তী কয়েকটি গ্রাম ও বিস্তির্ণ এলাকা বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সর্বস্থরের লোকজন ভাঙনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জনি চেয়ারম্যান ও আক্তার নেতার কারণে আজকের এই দূর্গতি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এবিষয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বলেন, ইতোমধ্যে যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন তাদের মাঝে ৬ হাজার টাকা, টিন দেওয়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা হয়েছে, তারা অবিলম্বে ভাঙ্গনরোধে জিওব্যাগ ফেলবে।
কেকে/ এমএস