সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫,
২৮ আশ্বিন ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম: শিক্ষা ভবনের সামনে ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ      হামাস-ইসরায়েল বন্দি বিনিময় শুরু, প্রথম দফায় ৭ জিম্মি হস্তান্তর      ভারী বর্ষণ-বন্যায় মেক্সিকোতে নিহত ৪৪, নিখোঁজ ২৭      ১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার      জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ      রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা      ২০০ তালেবান সৈন্যকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের      
খোলাকাগজ স্পেশাল
বাজেটের প্রভাব নেই নিত্যপণ্যের বাজারে
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশ: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ১০:১৮ এএম
ছবি: খোলা কাগজ

ছবি: খোলা কাগজ

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে সরকার। গত সোমবার বাজেট ঘোষণা করলেও নিত্যপণ্যের বাজারে এর তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। বাজারে মাছ-মাংস সবজি ও মুদিপণ্যের দাম আগের মতোই আছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।   

সরেজমিন রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। বাজারগুলোতে বেগুন প্রকারভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কচুর মুখি ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, সাজনা ১০০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, কাঁচা আম ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

বাজারে শীতকালীন সবজি ফুলকপি ছোট ৫০ টাকা পিস, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর ৭০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া লেবুর হালি ১০ থেকে ১৫ টাকা, ধনেপাতা ২৮০ টাকা কেজি, কাঁচাকলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০ টাকা পিস, ক্যাপসিকাম ২৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা আঁটি, পালং শাক ১৫ টাকা আঁটি, কলমি শাক ২০ টাকা আঁটি, পুঁই শাক ৩০ টাকা আঁটি ও ডাটা শাক ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

মুদিপণ্যের মধ্যে বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা ও ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি আদা ১৩০ থেকে ২৮০ টাকা, রসুন দেশি ১৩০ টাকা, ইন্ডিয়ান ২২০ টাকা, মসুর ডাল প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, মুগ ডাল ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা, খেসারির ডাল ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি খোলা চিনি ১১০ টাকা ও প্যাকেট জাত ১৪৫ টাকা, লবণ প্রতি কেজি প্রকারভেতে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা, বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯০ টাকা ও ৫ লিটার ৯৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, হাঁসের ডিম ২২০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া বাজার মিনিকেট চাল প্রকারভেদে ৭৮ থেকে ৮২ টাকা, নাজিরশাইল ৮২ থেকে ৯০ টাকা, স্বর্ণা ৫৫ টাকা ও ২৮ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি দরে।

মুরগির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতিকেজি সোনালি কক মুরগি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা ও সোনালি হাইব্রিড ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি ৩১০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা ও দেশি মুরগি ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা ও খাসির মাংস ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ব্রয়লার মুরগির দাম কমে যাওয়ায় বিক্রি বেড়েছে। ঈদুল আজহার আগ মুহূর্তে মুরগির দাম বরাবরই কম থাকে বলে তারা জানান। 

অন্যদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে মাছের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। এসব বাজারে প্রতিকেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, রুই দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের পাঙাস ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৭৫০ থেকে ১২০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বড় কাতল ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পোয়া ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১২০০ টাকা, বড় বাইম ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, দেশি কই ১২০০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০ টাকা, কোরাল ৭০০ টাকা ও কাজলি মাছ  ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত রমজান মাস থেকেই মূলত দ্রব্যমূল্যের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। তাছাড়া বাজেট ঘোষণার আগেই অনেক পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এজন্য ঘোষণার পর পণ্যের দাম বাড়ার আর কিছু থাকে না। তারপরও কিছু জিনিসের প্রভাব পড়তে পারে, যা হয়তো আগামী সপ্তাহের বাজারে দেখা যাবে।

নয়াবাজারের সবজি বিক্রেতা সাজেদুল ইসলাম বলেন, সামনে কোরবানির ঈদ সে উপলক্ষে কিছু জিনিসের দাম এমনিতেই বাড়বে। যেমন, শসা, টমেটো আর গাজর এ জিনিসগুলোর চাহিদাও বাড়ে, দামও বাড়ে। এছাড়া বাজারে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় দামটা একটু বাড়তি। 

নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি পরিস্থিতিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার। এজন্য বিশেষ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।

কেকে/এআর
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলকে ময়মনসিংহে যুক্ত করার প্রস্তাবের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
নেত্রকোণায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত
ফরিদপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত
নওগাঁয় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত
ডোমারে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

সর্বাধিক পঠিত

বাঞ্ছারামপুরে অস্ত্রসহ ৫ ডাকাত গ্রেফতার
নালিতাবাড়ীতে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত
বিশ্ব ব্যর্থতা দিবস আজ
অসুস্থ নাতনিকে দেখতে এসে লাশ হলেন নানা-নানি
শীর্ষ মানবপাচার চক্রের মূল হোতা আটক
সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close