নওগাঁর পত্নীতলায় এবারের কুরবানির পশু বেচাকেনায় ১ হাজার কোটি টাকা বাণিজ্যের সম্ভাবনা রয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় বেশি। ইতোমধ্যে উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ছোট-বড় হাটে এবং গ্রামে গ্রামে কুরবানির পশু বেচাকেনা শুরু হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায় এ বছর উপজেলায় কুরবানি যোগ্যপশু প্রস্তুত রয়েছে ৮১ হাজার ১শ ৫৭টি। উপজেলায় চাহিদা ধরা হয়েছে ৩৬ হাজার ৪শত ৭৫টি, চাহিদার চেয়ে ৪৪ হাজার ৬৮২টি কুরবানির পশু বেশি রয়েছে। ফলে উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে এবার আশপাশে সরবরাহের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
উপজেলা সদর নজিপুর নতুন হাটে গিয়ে দেখা গেছে, ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকছে। তবে মধ্যবিত্ত শ্রেণি ‘মাঝারি’ গরুর দিকে ঝুঁকছেন বেশি। নাদৌড় গ্রামের মহাতাব আলী বলেন দাম কম তাই গরু ফেরত নিয়ে এসেছি। নজিপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা টিপু সুলতান বলেন ঈদের খরচ বেড়েছে তাই ভাবছি ৬০-৭০ হাজার টাকার মধ্যে একটা মাঝারি গরু নিব। হাট ইজারাদারেরা বলেন, সরকারি নির্ধারিত রেটে টোল নেওয়া হচ্ছে, পুলিশ প্রশাসন হাটে সক্রিয় আছে। হাটগুলোতে এখনো কেনাবেচা পুরোপুরি জমেনি। মানুষ শুধু ঘুরে ঘুরে দেখছে।
উপজেলার দিবর ইউনিয়নের কাজীপাড়া গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন নামের এক খামারি জানান ৯টি গরু ছিল এলাকাতেই ৩টি বিক্রি করেছেন বড় ৬টি ষাঁড় গরু ঢাকা গাবতলী হাটে নিয়ে গেছেন প্রতিটি গরু ১১, ১২ লাখ দাম করছেন ১৪ লাখ বা একটু কমবেশি হলে বিক্রি করবেন। তিনি প্রাণিসম্পদ অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিবছরই গরু পালন করেন। আশা করছেন এবার ভালো লাভ থাকবে।
এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আশীষ কুমার দেবনাথ বলেন এবার ৮শ থেকে ১ হাজার কোটি টাকার বেচাকেনা হতে পারে। চাহিদার তুলনায় পশু বেশি আছে। প্রতিটি হাটে ২টি করে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম থাকছে। ভারতীয় গরু আসার কোনো সম্ভাবনা নেই, এখন পর্যন্ত আসেনি। আমরা বিজিবি ১৪ এর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি নিয়মিত।
কেকে/এএস