পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার খামারিরা। গমের ভুষি, ভুট্টা, পালিশ, সয়াবিন খৈল এবং নিজেদের চাষ করা ঘাসসহ অর্গানিক খাবার খাইয়ে গরু মোটাতাজা করছেন তারা। তবে, চাহিদার তুলনায় জোগান বেশি থাকায় কাঙ্ক্ষিত আয় নিয়ে রয়েছে অনেকের মনে শঙ্কা।সাতক্ষীরা জেলায় এবারে কুরবানির জন্য গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৫ হাজার ৩১৮টি। চাহিদার বিপরীতে পশু প্রস্তুত রয়েছে ১ লাখ ৬০৬টি। বাজারে পশুখাদ্য এবং পশু পরিচর্যা ব্যয়বৃদ্ধি পেলেও আশানুরূপ দাম পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী খামারিরা। তবে, শঙ্কা ভারতীয় গরুর পাচার নিয়ে।
খামারিরা জানান, গত বছর খাবারের মূল্য কম থাকায় আমরা লাভবান হয়েছিলাম। এবার খাবারের দাম বেশি। তবে, ভারত থেকে গরু না এলে এবারও লাভবান হতে পারবেন বলে আশাবাদী এই খামারিরা।
কয়েকজন ক্রেতা জানান, চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি হওয়ায় দাম কম হবে প্রত্যাশা ছিল। তবে ক্রেতাদের কেউ বলছেন গত বছরের চেয়ে এবার দাম বেশি, আবার কেউ বলছেন তুলনামূলকভাবে কম।
শহরের খামারি আমিনুর রহমান আলম বলেন, খাবারের দাম বেশি, গরুর দাম কম। লাখের ওপরে গরু বিক্রি নেই। খামার চালানো কঠিন। গত বছর লাভ হয়েছিল, তাই এ বছর গরু প্রস্তুত করা। তবে, এ বছর লোকশানের শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বিষ্ণুপদ বিশ্বাস বলেন, এ বছর জেলায় খামারির সংখ্যা ১২ হাজার ৮৯৪। এসব খামারে ৪৯ হাজার ১৯৯টি, ১ হাজার ১৮২টি মহিষ, ৪৪ হাজার ৫৪টি ছাগল, ৬ হাজার ১৫৬টি ভেড়া এবং অন্যান্য ১০টিসহ ১ লাখ ৬০৬টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ বছর জেলায় কুরবানি হতে পারে ৪২ হাজার ৩৫২টি গরু, ৬১৬টি মহিষ, ৩৮হাজার ৮৫০টি ছাগল এবং ৩ হাজার ৫০০টি ভেড়াসহ মোট ৮৫ হাজার ৩১৮টি।
সেই হিসাবে ১৫ হাজার ২৮৮টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। তিনি আরো বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর ২ থেকে ৩% কুরবানির পশু বেড়েছে। কোনো সংকটের আশঙ্কা নেই। তিনি আরো বলেন, সীমান্ত দিয়ে কোনো গরু আসবে না। এক্ষেত্রে সরকার কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। তারপরও চোরাই পথে কিছু ঢুকলেও প্রান্তিক চাষিদের তেমন কোনো সমস্যা হবে না বলে মনে করেন তিনি।
কেকে/এএস