বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ বেকসুর খালাস দেওয়ায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) জোহরের নামাজের পর সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাটে অবস্থিত বায়তুশ শরফ মসজিদে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার আমির অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ বদরুল হকের সঞ্চালনায় ও ছিটুয়া পাড়া বায়তুশ শরফ মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ কফিল উদ্দিনের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে এ দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার কর্মপরিষদ সদস্য ও লোহাগাড়া উপজেলা আমির মাওলানা আসাদুল্লাহ ইসলামাবাদী, সাতকানিয়া উপজেলা আমির মাওলানা কামাল উদ্দিন, চন্দনাইশ উপজেলা আমির মাওলানা কুতুবউদ্দিন, সাবেক সাতকানিয়া উপজেলা আমির ডা.নুরুল হক, জেলা শূরা সদস্য ডাক্তার আব্দুল জলিল।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার শূরা সদস্য এম ওয়াজেদ আলী, উত্তর সাতকানিয়া সাংগঠনিক থানা শাখার সহসভাপতি প্রফেসর জয়নাল আবেদিন, কালিয়াইশ ইউনিয়ন আমির আবুল বশর, সাতকানিয়া পৌরসভা আমির অধ্যক্ষ হামিদ উদ্দিন আজাদ, ছদাহা ইউনিয়ন সভাপতি ফজলুল হক, কেরানিহাট শাখা সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল মালেক, কেওঁচিয়া ইউনিয়ন সভাপতি মাস্টার নুর হোসাইন ও সেক্রেটারি মুহাম্মদ জাহেদ, ঢেমশা ইউনিয়ন সেক্রেটারি মুহাম্মদ জাবেদ, বাজালিয়া ইউনিয়ন সেক্রেটারি ইসমাইল মুহাম্মদ রাশেদ, কালিয়াইশ ইউনিয়ন সেক্রেটারি আবুল বশরসহ উপজেলা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা আমির অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল আলম চৌধুরী কোরআনের আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন সত্য সমাগত মিথ্যা অপসৃত, মিথ্যার পরাজয় অবশ্যম্ভাবী বলে জানান।
তিনি বলেন, আমাদের প্রাণপ্রিয় কাফেলার ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক ছাত্র নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে অত্যন্ত নির্মমভাবে ও মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তাকে অপরাধী বানানোর হীন চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছিল সৈরাচারী সরকার।
তিনি বলেন, এই সৈরাচারী আওয়ামী সরকার তাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তথাকথিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নামে তার ওপর সেই বিচারপতির রায় চাপানো হয়েছিল। সেই রায়ে আজকের এই সময়ে এই নতুন বাংলাদেশের সময়ে নতুন স্বাধীনতার এই সময়ে মহান রাব্বুল আলমিন সত্য উদঘাটন করেছেন বলে জানান।
দক্ষিণ জেলা আমির আরো বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার সত্য উদঘাটনের মধ্য দিয়ে এই আওয়ামী দুঃশাসনের মধ্য দিয়ে শহিদি কাফেলার আমিরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের ওপর মিথ্যা অপবাদ ও অপরাধের তকমা দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছিল। আজকের সেই জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে হত্যা আজকে প্রমাণিত হয়েছে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয়ভাবে রাষ্ট্রের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে প্রাণপ্রিয় ভাইদেরকে হত্যা করা হয়েছিল।
নির্যাতিত, নিপিড়িত ও মুক্তিগামী জনতার দাবি হচ্ছে যারা জুলুম করেছে, যারা মুক্তিগামী জনতার ওপর নির্যাতন করেছে, জুলুম করেছে― তাদের বিচার বাংলাদেশের মাটিতে হতে হবে বলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি করেন তিনি।
কেকে/এজে