চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) অধ্যয়নরত দারুননাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সংগঠন দারুননাজাত স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে এক জমকালো নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৪ মে) দুপুর ১টায় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ১নং গ্যালারিতে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে নবাগত শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয় অত্যন্ত আন্তরিকতা ও উষ্ণতার সাথে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহিদুল হক। যিনি নবীনদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। এ ছাড়াও সংগঠনের বর্তমান, নবীন সাবেক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করা হয়। এ ছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কুইজ প্রতিযোগিতা, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও মনোমুগ্ধকর আলোচনা সভার আয়োজন ছিল যা নবীনদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি করে।
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, প্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমরা জাতির ভবিষ্যৎ, আগামীর সম্ভাবনা। আজকের শিক্ষাই আগামী দিনের ভিত্তি গড়ে দেয়। শুধু পাঠ্যবই মুখস্থ করে পরীক্ষায় ভালো ফল করলেই চলবে না, বরং প্রকৃত শিক্ষা হলো নৈতিকতা, দায়িত্ববোধ, শৃঙ্খলা এবং দেশপ্রেম অর্জন করা।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেন—
১. লক্ষ্য স্থির করো : জীবনে কী হতে চাও, তা আজ থেকেই ভাবতে শুরু করো। একটি পরিষ্কার লক্ষ্য থাকলে পথ চলা সহজ হয়।
২. পরিশ্রমকে সঙ্গী করো : সফলতা কোনো জাদু নয়। একমাত্র পরিশ্রমই পারে তোমাদের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছে দিতে।
৩. সততা ও নৈতিকতা চর্চা করো : জীবনের যেকোনো ক্ষেত্রেই সততা ও নীতিনিষ্ঠা হলো সবচেয়ে বড় শক্তি।
৪. সময়কে মূল্য দাও : সময়ের সঠিক ব্যবহার শেখো। প্রতিটি মুহূর্তের সঠিক ব্যবহারই ভবিষ্যতের সফলতা নিশ্চিত করে।
৫. পড়াশোনার পাশাপাশি মানবিক গুণাবলি গড়ে তোলো : অন্যের প্রতি সহানুভূতি, শ্রদ্ধা, সহনশীলতা তোমাকে একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে।
সংগঠনের সভাপতি কেফায়েত উল্লাহ বলেন, নবীনদের মাধ্যমে সংগঠনের ভবিষ্যৎ গড়ে উঠবে। তাদের সহযোগিতা ও সঠিক দিকনির্দেশনা পেলে আমরা আরো ঐক্যবদ্ধ ও কার্যকরভাবে এগিয়ে যেতে পারব।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত দারুননাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক সহযোগিতা, সৌহার্দ্য এবং একাডেমিক অগ্রগতির লক্ষ্যে সংগঠনটি কাজ করে যাচ্ছে।
কেকে/এআর/এএম