ফটিকছড়িতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইয়াকুব শহীদ নামে এক বিএনপি নেতা। তিনি উপজেলার সুয়াবিল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
বুধবার (২১ মে ) সুয়াবিল বৈদ্যরহাট এলাকায় ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত মাসের ২৭ তারিখ নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক কর্মীকে ধরিয়ে দেওয়ার পরে ২৮ তারিখ রাতে চট্টগ্রাম শহরে আমিসহ ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে হত্যার পরিকল্পনা নেওয়ার তারা দুঃসাহস দেখায়।
তারা এ সময়ে এসে কিসের বলে এমন দুঃসাহস দেখায় তা আমাদের বোধ্গম্য নয়। বিগত দিনে স্বৈরাচারের দোসর জয়নাল চেয়ারম্যানসহ জাহেদ উদ্দিন মামুনের নেতৃত্বে যা পরিকল্পনা করেছে তার তীব্রনিন্দা জানাই।
ভূজপুর থানার ওসিকে উদ্দেশ্য করে ইউনিয়ন বিএনপির এ নেতা বলেন আপনি দ্রুত সুয়াবিলে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের ক্যাডারদের ধরতে অভিযান চালান। এসব ক্যাডারদের ধরতে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে পুলিশকে সার্বিক সহযোগিতা করার কথা জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বারবার অনুরোধ করার পরও আপনি (ভূজপুর থানার ওসি) আওয়ামী লীগের দোসরদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। আপনি যদি যথাসময় ব্যবস্থা নিতেন তাহলে শহরে বসে আওয়ামী লীগের দোসররা ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে হত্যার পরিকল্পনা নেওয়ার মতো দুঃসাহস পেতেন না। জয়নাল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা থাকার পরও সে কীভাবে শহরে বসে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় তা আমাদের জানা নেই। এ সময় তিনি স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীসহ এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের দোসরদের প্রতিহত করার ঘোষণা দেন। এ সময় তিনিসহ ইউনিয়নের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান বিএনপির এ নেতা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল মালেক, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকতুল ইসলাম মুন্না, প্রচার সম্পাদক ফায়সুল্লাহ টিপু, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি এস এম নঈম উদ্দিন, জহুর কোম্পানী, মো. দিদার, কাসেম, মো. মুছা, কামাল, সুজন প্রমুখ।
কেকে/এএস