লক্ষ্মীপুরে আল-মুঈন ইসলামী একাডেমী থেকে হেফজ বিভাগের ছাত্র সানিম হোসাইনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে পৌর শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় মাদ্রাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে দুপুরে সানিমের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। নিহত সানিম রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের কুচিয়ামারা গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী হুমায়ুন মাতব্বরের ছেলে।
পরিবারের দাবি, শিক্ষক মাহমুদুর রহমানের মারধরে সানিম মারা গেছে। ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে সানিম টয়লেটে ঢুকে আত্মহত্যা করেছে বলে শিক্ষকরা প্রচার করেছে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিক্ষক মাহমুদুর রহমানকে আটক করে পুলিশ।
পরিবার আরও জানায়, সানিম ২০ পারা কোরআনে হাফেজ। ৩-৪ দিন আগে আমাদের কাছে খবর যায়, সে নাকি হুজুরের কথা শোনে না, এমনকি হুজুরের নামে বদনাম করে। এ নিয়ে হুজুর তার ওপর রেগে ছিল। সকালে সানিমকে শিক্ষক মাহমুদুর রহমান মারধর করেন, মঙ্গলবার দুপুরে খবর পাই সানিম নাকি টয়লেটে ঢুকে গলায় ফাঁস দিয়েছে। মাদ্রাসায় এসে ওই হুজুরকে জিজ্ঞেস করতে চাইলে সবাই বলেছে তাকে আটকে রাখা হয়েছে। সানিমের লাশ আমরা টয়লেটে পাইনি। তার লাশ মাদ্রাসার নিচতলার একটি কক্ষে বিছানায় পেয়েছি। তাকে হত্যা করা হয়েছে তার হত্যার বিচার দাবি করেন তারা।
অন্যদিকে সানিমের মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না তার বাবা-মাসহ স্বজনরা। ছেলের শোকে মাদ্রাসার মেঝেতে বারবার কান্নায় মুর্ছা যেতে দেখা যায় অসহায় বাবা-মাকে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল হক বলেন, মাদ্রাসা ছাত্রের আত্মহত্যার খবর পেয়ে আমরা এসেছি। তার গলায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কালো দাগ রয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
কেকে/এজে