নওগাঁর পোরশায় চাঞ্চল্যকর একই বাড়িতে আপন দুই ভাই-বোনকে স্বর্ণের লোভে হত্যা করে নুরুন্নবী (৩৫) নামের ধর্ম ছেলে। হত্যাকারী নুরুন্নবী উপজেলার বানমহন গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে। সে পোরশা সদরের গবিরাকুড়ি কদুপনা পাড়ায় বিয়ে করে প্রায় একযুগ ধরে ঘর জামাই হিসাবে বসবাস করে আসছিল। হত্যার পর খুনি প্রায় দেড় মাস ধরে পলাতক ছিলেন।
সোমবার (১২ মে) সকালে ঢাকার টাঙ্গাইল জেলার সখীপুর থানা এলাকা থেকে খুনি নুরুন্নবীকে আটক করে পুলিশ।
জানা গেছে, উপজেলার পোরশা পূর্ববাড়ি গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেন শাহ্ এর ছেলে নূর মোহাম্মদ (৫৫) ও রেজিয়া খাতুন (৫৮) আপন দুই ভাই-বোন একই বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করতেন। রেজিয়া খাতুন স্বামী পরিত্যক্ত হওয়ায় এবং তার কোনো সন্তান না থাকায় খুনি নুরুন্নবীকে দীর্ঘদিন পূর্বে ধর্ম ছেলে বানান রেজিয়া খাতুন।
সেই থেকে রেজিয়াদের বাড়ি যাতায়াত ছিল তার। রেজিয়ার নিকট বেশ কিছু স্বর্ণ দেখে লোভে পড়েন নুরুন্নবী। স্বর্ণগুলো পেতে কৌশলে গত ৭ এপ্রিল বাড়িতে প্রবেশ করে রেজিয়া খাতুন ও নুর মোহাম্মদকে হত্যা করেন ঘাতক নুরুন্নবী। হত্যার পর রেজিয়ার গলার হার ও কানের দুলসহ বেশ কিছু স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে ছিলেন নুরন্নবী। এ ঘটনায় ঐদিন নিহতদের বড়ভাই ফজলে আহম্মাদ পোরশা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, সোমবার সকালে টাঙ্গাইল জেলার সখীপুর থানার বয়রাতৈল ইউনিয়নের বেটুয়া পশ্চিমপাড়ার জনৈক সুরুজ মিয়ার ফার্নিচারের দোকান থেকে ঘাতক নুরুন্নবীকে আমরা আটক করি। এ সময় তার কাছে থাকা স্বর্ণ বিক্রি করার ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা আমরা জব্দ করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক নুরুন্নবী খুনের কথা স্বীকার করেছেন বলেও তিনি জানান।
কেকে/এএস