স্বামী স্বীকৃতির দাবি নিয়ে ৩দিন ধরে উঠোনে বসে লাগাতার অনশন করছে এক সন্তানের জননী পারুল রানি রায়।
গত সোমবার সকাল থেকে বুধবার পর্যন্ত ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে দাবি আদায়ের চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। অনশনের ফাঁকে নতুন বউ বাড়ীতে এনে ফুলশয্যা করছেন পারুলের স্বামী। চলছে ধুমধাম করে বউ ভাতও। এরপরও দাবি থেকে একচুলও সরে না আসার অঙ্গীকার তার।
ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউপি পশ্চিম মেলাবর গ্রামে।
জানা গেছে, জলঢাকা উপজেলার কৈমারী রথ বাজার গ্রামের সুবল চন্দ্র রায়ের মেয়ে পারুল রানি রায়ের সাথে বিয়ে হয় কিশোরগঞ্জের বড়ভিটা ইউপির পশ্চিম মেলাবর গ্রামের ডিজেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে অবিনাশ চন্দ্র রায়ের। পারুল এক ছেলে সন্তানের মা হলে কিছুদিন পর অবিনাশ চন্দ্র মৃত্যুবরণ করেন। তখন বিধবা পারুলের উপর লোলুপ দৃষ্টি পরে পারুলের চাচা শ্বশুরের অবিবাহিত বখাটে ছেলে ভুপাল কান্তি রায়ের। পরস্পরের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। এই সম্পর্ককে চিরস্বরনীয় করে রাখার জন্য আবদ্ধ হন বিবাহ বন্ধনে। গত ২০২২ সালে কাজীর মাধ্যমে বিশেষ শর্তাদিতে ৩০ লক্ষ টাকা নগদ ও স্বর্ণের চেইন দিয়ে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়। বিয়ের পর ৩ বছর ভুপাল কান্তির কর্মস্থলে গিয়ে সংসার করেন পারুল।
পারুল রানী জানান, ৩ বছর তার সংসার জীবন ভালই চলছিল। হঠাৎ তাদের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মনোমালিন্য ঘটে এর পর থেকে ভুপাল তাদের বিয়ে অস্বীকার করে আসছে। পারুল রানি আরো বলেন আমাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি দিয়ে ঘরে তুলে না নিলে আমি এই জায়গা থেকে উঠবো না।
কিশোরগঞ্জ অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি কোর্টে তাদের মামলা থাকায় হস্তক্ষেপ করতে পারছি না।
কেকে/ এমএস