কমলগঞ্জ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সংরক্ষিত কক্ষ থেকে এসি ও আইপিএস চুরি হওয়ায় ব্যাঘাত ঘটছে চিকিৎসা সেবায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন জনসাধারণ।মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ৫০শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেহাল অবস্থা। রয়েছে দক্ষ জনবলের অভাব ও অপরিকল্পিত ব্যবস্তাপনা। কমলগঞ্জ উপজেলায় প্রায় তিন লক্ষ জনগণ রয়েছেন যারা এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকেই চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে থাকেন।
কমলগঞ্জের ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও এর মধ্যে রোগীরা পাচ্ছেন চিকিৎসা সেবা। হাসপাতালে চিকিৎসক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিরাপত্তা প্রহরী থাকা সত্ত্বেও একের পর এক ঘটছে চুরির ঘটনা।
হাসপাতালের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রিক যন্ত্র আইপিএস প্রথম চুরির ঘটনা ঘটে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর দ্বিতীয় তলার ৩৩ নম্বর রুম থেকে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানলেও শুধুমাত্র থানায় জিডি করে তাদের দায়ভার এড়িয়ে গেলেও নেননি কোনো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। যার ফলশ্রুতিতে কিছুদিন পরেই সংরক্ষিত কক্ষ থেকে আরেকটি এসি চুরির ঘটনা ঘটে।
চুরি হওয়া এসিটি ছিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিচ তলার কমিউনিটি আই সেন্টার রুমে। আই সেন্টার রুমের দায়িত্বে থাকা নার্স সামিমা ফেরদৌসী জানান, এসি চুরি হওয়ার আগের দিন আই সেন্টার রুমের মধ্যে থাকা সংরক্ষিত রুমে এসি দেখে বক্সের ভিতর নির্ধারিত স্থানে রেখে যান। পরের দিন সকালে রুমের তালা খুলে দেখেন রুমের ভেতর কিছুটা এলোমেলো এবং দরজার সিটকরী ভাঙ্গা । তারপর সংরক্ষিত রুমে দেখেন ভিতরে থাকা এসি নেই। পরবর্তীতে এই ঘটনা তিনি নিজে গিয়ে তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান।
এ বিষয়ে তাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করলে একপর্যায়ে তিনি বলেন, চুরি হওয়ার আগের দিন নিজের হাতেই রুমে তালা দিয়ে চলে যান এবং পরের দিন তিনি রুমের তালা খুলে রুমের ভিতর প্রবেশ করেন, কিন্তু কিভাবে এই চুরির ঘটনাটি ঘটলো তা বুঝে উঠতে পারছেন না।
আবাসিক চিকিৎসক সাজ্জাদুর কবির বলেন, হাসপাতাল থেকে প্রথমে আইপিএস চুরি হয়েছে, তারপর এসি এইটা খুবই ন্যাক্কারজনক কাজ । বর্তমানে আইপিএস না থাকার কারনে বিদ্যুৎ চলে গেলে রোগী এবং চিকিৎসক উভয়কেই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে, ইনডোর সাধারণ রোগীর পাশাপাশি ডেলিভারি রোগী কক্ষ সেখানে আইপিএস এর ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখন সেই সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মাহবুব আলম বলেন, আইপিএস এবং এসি চুরির বিষয় কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থাকা সকল স্টাফ কে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং নিরাপত্তা প্রহরী প্রতাপ শব্দ করকে শোকজ করা হয়েছে।
তবে কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির বলেন, আমার হাতে এখনো হাসপাতালের মালামাল চুরি হওয়ার বিষয়ে কোনো অভিযোগ আসেনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
কেকে/ এমএস