বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য ইসলামী ছাত্রশিবির এখন এক অনিবার্য বাস্তবতা। এই সমাজের মানুষকে তৈরী করার জন্য ভবিষ্যত মুসলিম উম্মার কান্ডারী হিসেবে যারা নেতৃত্ব দিতে পারবে এমন দক্ষ ব্যক্তিত্ব তৈরী করার জন্য ইসলামী ছাত্রশিবির কাজ করে যাচ্ছে। আল্লাহ প্রদত্ত ও রাসুল (সা.) এর প্রদর্শিত বিধান অনুযায়ী মানুষের সার্বিক জীবনের পুনঃবিন্যাস সাধন করে এক আল্লার সন্তুষ্টি অর্জন করাই হচ্ছে আমাদের মূল লক্ষ্য।
সোমবার (১২ মে) সকাল ১১টার দিকে নীলফামারীর জলঢাকায় আল ফালাহ্ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির জেলা শাখার আয়োজনে উপশাখা প্রতিনিধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ২৪ জুলাইয়ের গণআন্দোলনের পরবর্তী সময় এই বাংলাদেশকে নতুন ভাবে গড়ে তোলার জন্য মানুষের সামনে একটি স্বপ্ন তুলে ধরেছে। এই স্বপ্ন হলো বাংলাদেশ হবে কোরআনের বাংলাদেশ। এই সমাজ ব্যবস্থায় মানুষ সাম্যতা নিয়ে বসবাস করবে। খুন-খারাবি থাকবে না। মানুষের মধ্যে সাম্য প্রতিষ্ঠা হবে। ন্যায় ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা হবে। ছাত্ররা নৈতিকতার আলোকে সমাজ ব্যবস্থাকে গড়ে তুলবে। ছাত্রদের হাতে আগামী প্রজন্ম নিরাপদ থাকবে। তারা নিজেরা নিজেদেরকে নিরাপদ রাখবে। এই সমাজ ব্যবস্থার স্বপ্ন নিয়ে আমরা সৎ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরীর জন্য ছাত্রদের মাঝে কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘ইসলামী ছাত্রশিবিরকে দীর্ঘ ১৫ বছর কাজ করতে দেয়া হয়নি। সমাজের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সাংবিধানিক অধিকার চাইতে গিয়ে শিবিরের নেতাকর্মীদের জেলে যেতে হয়েছে। ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা কায়েমের জন্য আমাদের জীবনের রক্তগুলোকে দিতে হবে। সময় দিতে হবে, ত্যাগ করতে হবে। ইসলামী ছাত্রশিবির যুবকদের সেইভাবেই গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা করে আসছে।
ইসলামী ছাত্রশিবির জেলা শাখার সভাপতি তাজমুল হাসান সাগরের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী আন্তাজুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা ওবায়দুল্লাহ সালাফী, জলঢাকা উপজেলা জামায়াতের আমীর মোখলেছুর রহমান, নায়েবে আমীর মো. কামারুজ্জামান, সেক্রেটারী মোয়াম্মার আল হাসান, নীলফামারী শহর শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
কেকে/ এমএস