নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে দলটির শত সহস্র অপরাধ আড়ালে চলে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, এভাবে নিষিদ্ধ করলে একদিকে তাদের অপরাধ ঢাকা পড়বে, অন্যদিকে জনমনে সহানুভূতিও তৈরি হতে পারে।
শনিবার (১০ মে) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচার সংহতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সাইফুল হক বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু ইতোমধ্যেই ঘটেছে। ৫ আগস্ট ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানেও তাদের প্রতি জনগণের অনাস্থা স্পষ্ট হয়েছে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করলে আন্তর্জাতিক পরিসরেও প্রশ্ন উঠতে পারে। বরং দলটিকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে অকার্যকর করে তোলাটাই গুরুত্বপূর্ণ।
সরকারের দ্বৈত ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিদেশ চলে গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে কেউ দায় নিচ্ছেন না। এতে সরকারের কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্র থেকে নীতি নির্ধারিত হওয়ায় সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত।
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সাইফুল হক বলেন, আমরা চাই, আলোচনার মাধ্যমে এই উত্তেজনার অবসান হোক। বাংলাদেশ কোনোভাবেই যুদ্ধ উন্মাদনায় জড়াবে না।
সীমান্তে ভারতীয় নাগরিকদের পুশইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি একটি আগ্রাসী আচরণ। ভারতীয় হাই কমিশনারকে ডেকে এর প্রতিবাদ জানানো উচিত।
সংবাদ সম্মেলনে পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, কেন্দ্রীয় সদস্য রাশিদা বেগম, সাইফুল ইসলাম, মো. ফিরোজ আলী, বাবর চৌধুরী, জামাল সিকদার ও আরিফুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/ এএম