সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫,
২৮ আশ্বিন ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম: ভারী বর্ষণ-বন্যায় মেক্সিকোতে নিহত ৪৪, নিখোঁজ ২৭      ১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় এক বিলিয়ন ডলার      জিয়া পরিবার জনগণের পরিবার : আমান উল্লাহ      রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা      ২০০ তালেবান সৈন্যকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের      বাতিল হওয়ার শঙ্কায় বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার ভারত সফর      বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করে দেশে স্বৈরশাসন পাকাপোক্ত হয়েছিল      
দেশজুড়ে
শালিখায় বিলুপ্তির পথে সন্ধ্যা সাজের কুপিবাতি
মাসুম বিল্লাহ, শালিখা (মাগুরা)
প্রকাশ: শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ৪:৫২ পিএম
ছবি: খোলা কাগজ

ছবি: খোলা কাগজ

প্রযুক্তির সংস্পর্শে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগছে অবিরাম। অনেক কিছুর পাশাপাশি আবিষ্কৃত হয়েছে বৈদ্যুতিক বাতি। শহর থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবহার এখন বেড়েই চলেছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে কালের বিবর্তনে সারা দেশের ন্যায় মাগুরার শালিখা থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে সন্ধ্যা সাজের সলতে প্রদীপ ল্যাম্প। আবহমান গ্রামবাংলার এক সময়ের জনপ্রিয় ‘ল্যাম্প বা কুপিবাতি’ এখন বিলুপ্তির পথে।

স্থানীয়ভাবে সন্ধ্যা সাজের এই ল্যাম্প বা কুপিবাতি, দোয়াত, টেমি, মশাল , ঠুসিসহ নানা নামে পরিচিত। গ্রামীণ জীবনে অন্ধকার দূর করার একমাত্র অবলম্বন ছিল কুপিবাতি। কুপিবাতি জ্বালিয়ে রাতে গৃহস্থালির কাজ করতেন গৃহিণীরা। রাস্তায় চলাচলসহ উঠানে কিংবা বারান্দায় অথবা ঘরে পড়াশোনা করত ছেলেমেয়েরা। আর এসকল বাতিগুলো জালানো হতো হাতে পাকানো পাটের সলতে ও  কেরোসিন দিয়ে। কুপি বাতির কেরোসিন তেল আনার জন্য প্রতিটি বাড়িতেই ছিল বিশেষ ধরনের কাঁচের বোতল। আধুনিক প্রযুক্তির কারণে আবহমান গ্রামবাংলার কুপিবাতি প্রতিটি ঘরে ঘরে আলো ছড়ালেও আজ তা শুধুই স্মৃতি। অথচ এই কুপিবাতি গ্রামবাংলার প্রতিটি ঘরকে করতো  আলোকিত।

অতীতে বিভিন্ন ডিজাইনের ও রঙের এই বাতির মূল্যও ছিল ১ পয়সা থেকে ২ পয়সা আর দোকানে ব্যবহার বড় ধরনের কুপি বাতিগুলোর মূল্য ছিল ২৫ পয়সা থেকে ৫০ পয়সা। যা স্বাধীনতার পরবর্তীতে ২৫ পয়সা থেকে ৫০ পয়সা এবং সর্বচ্চ ১ থেকে ২ টাকা মূল্য এসে হারিয়ে যায় কুপিবাতি। এগুলো তৈরি হত কাঁচ, মাটি, লোহা আর পিতল দিয়ে। গ্রামবাংলার মানুষ নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী কুপিবাতি ব্যবহার করতেন। বাজারে সাধারণত দুই ধরনের কুপি পাওয়া যেত- বড় ও ছোট। বেশি আলোর প্রয়োজনে কুপিবাতিগুলো কাঠ এবং মাটির তৈরি গাছা অথবা ট্যান্ডের ওপর রাখা হতো। এই গাছা অথবা ট্যান্ডগুলো ছিল বিভিন্ন ডিজাইনের।

গ্রামবাংলার সেই চিরচেনা প্রয়োজনীয় কুপিবাতি আজ বিলীন হয়ে গেছে বললেই চলে। এ দৃশ্য এখন আর গ্রামীণ সমাজে চোখে পড়ে না। কালের বির্বতনে বর্তমানে কুপি বাতির পরিবর্তে স্থান করে নিয়েছে বৈদ্যুতিক বাল্ব, সোলার প্লান্ট, চার্জার লাইট, চার্জার ল্যাম্পসহ আরো অনেক কিছুই। এখন বিদ্যুৎ না থাকলেও গ্রামবাংলার মানুষ ব্যবহার করছে সৌর বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন রকমের চার্জার। অতীতের রাতের অন্ধকারকে দূরে ঠেলে আলো ছড়িয়ে দেবার সেই কুপিবাতি,ল্যাম্প, দোয়াত, মশাল আজ কালের আবর্তে হারিয়ে যেতে বসেছে। অতীতের স্মৃতি চারণ করে আড়পাড়া ইউনিয়নের পুকুরিয়া গ্রামের বয়োবৃদ্ধ ধলা কাজী বলেন, আমাদের সময়ে ল্যাম্প বা কুপিবাতিই ছিল সন্ধ্যার সাজ জালানোর একমাত্র মাধ্যম। এছাড়াও পড়াশোনা, দূরদূরান্তে যাতায়াত, সভা বা উঠান সভায় কুপিবাতি ছিল একমাত্র সঙ্গী।

আধুনিকতার ছোঁয়া ও প্রযুক্তির উন্নয়নে কুপিবাতি সেকালের হলেও ছেঁড়া কাগজের পাতায় লেখা থাকবে কুপিবাতির নাম ও স্মৃতি ফলে নতুন প্রজন্মের শিশুরা জানতে পারবে কুবিবাতি ও তার একাল সেকাল।

কেকে/এএস

মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

নালিতাবাড়ীতে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত
বাগেরহাটে আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস উদযাপন
ঢাকার সাবেক চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল বরখাস্ত
শীর্ষ মানবপাচার চক্রের মূল হোতা আটক
বিপর্যস্ত বাংলাদেশের সামনে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা

সর্বাধিক পঠিত

নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে : তানভীর হুদা
রাজশাহীতে বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালিত
মৌলভীবাজারে জামায়াত ও খেলাফত মজলিসের স্মারকলিপি
ট্রাক ভাড়া করে ঘুরে ঘুরে ডাকাতি করত তারা
মুরাদনগরের ওসি জাহিদুরের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বসহ নানা অভিযোগ, অপসারণ দাবি

দেশজুড়ে- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close