দ্য ইন্সটিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড টেকনোলজিস্ট (আইটিইটি) কর্তৃক প্রাক বাজেট সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকাল ৩ ঘটিকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। আইটিইটি’র আহ্বায়ক প্রকৌশলী এহসানুল করিম কায়সারের নেতৃত্বে উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে আসন্ন বাজেট উপলক্ষ্যে কতিপয় প্রস্তাব ও দাবি উপস্থাপন করেন আইটিইটি বাংলাদেশের সদস্য সচিব প্রকৌশলী মো. এনায়েত হোসেন।
বর্তমান বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বাংলাদেশ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এরই প্রেক্ষিতে টেক্সটাইল প্রকৌশলীদের পেশাজীবী সংগঠন হিসেবে ভবিষ্যতে করণীয় ও সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর করার লক্ষ্যে তারা এই সম্মেলনের আয়োজন করেছেন। সম্মেলনে জ্বালানি গ্যাসের দাম কমানো, টেক্সটাইলে কার্বন নিস্বরণের হার কমানোসহ দেশে টেক্সটাইল মেশিনারি তৈরির প্লান্ট স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— আইটিইটির ইন্টারিম কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী এহসানুল করিম কায়সার, যুগ্ম আহ্বায়ক প্রকৌশলী এটিএম সামসুদ্দীন খান, সদস্য সচিব প্রকৌশলী মো. এনায়েত হোসেন, প্রকৌশলী সাইদুর রহমান, প্রকৌশলী রওশন জামিল টিপু, প্রকৌশলী সুমায়েল মো. মল্লিক, প্রকৌশলী এ এস এম হাফিজুর রহমান নিক্সন, প্রকৌশলী খালেদুল ইসলাম মিথুন, প্রকৌশলী এস এম মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, প্রকৌশলী আহসান হাবিব, প্রকৌশলী শেখর চন্দ্র দাস, প্রকৌশলী আশিক ইসতিয়াক লিখন, প্রকৌশলী আরফান আলী পিকে, প্রকৌশলী সাজেদুল হক শালুক, প্রকৌশলী মো. মঈদুল ইসলাম মঈদ, আইটিইটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ ও সাংবাদিকগণ।
সম্মেলনে আইটিইটির সদস্য সচিব এনায়েত হোসেন সাংবাদিকদের সামনে সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আসন্ন বাজেটে শিল্পক্ষেত্রে গ্যাস ও জ্বালানি তীব্র সংকটের কারণে টেক্সটাইল শিল্প কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় পোশাক রপ্তানিতে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে তাই আমরা এলএমজি আমদানি করে চাহিদামতো টেক্সটাইল শিল্পে গ্যাস সরবরাহের দাবি জানাই। এজন্য পেট্রোবাংলাকে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানাই। গ্যাসের মূল্য ২০২৩ সালের পূর্বের মূল্যের অবস্থায় নিয়ে পুনঃমূল্য নির্ধারণের ওপর গুরুত্বারোপ করছি।
তিনি আরো বলেন, রফতানিমুখী পোশাক শিল্পের মন্দাভাব বিবেচনায় রেখে পোশাক রফতানির উপর ধার্যকৃত শুল্ক ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.২৫ শতাংশ, অপ্রদর্শিত অর্থ বিনা প্রশ্নে শিল্পে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া যাতে করে এই অর্থ বিদেশে পাচারে অনুৎসাহিত করে দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়। বিদেশিদের নিয়োগ বন্ধ, ব্যাংক সুদের হার ১০ শতাংশ নির্ধারণ, টেক্সটাইল শিল্পে ব্যবহৃত ডাইস-ক্যামিক্যালের ট্যাক্স কমানো, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৫০ একর জমি এবং টেক্সটাইল শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ করার দাবি জানাই আমরা।
এ ছাড়াও টেক্সটাইল স্পিনিং কারখানার কাঁচামাল (তুলা) ডাম্পিং এর জন্য ফ্রি জোন স্থাপন, রফতানিমুখী টেক্সটাইল পণ্যে প্রণোদনা ১০–২০ ভাগ প্রদান, বন্ডেড ওয়্যার হাউজের নীতিমালার পরিবর্তন, সকল টেক্সটাইল কারখানাকে সোলার সিস্টেমে নিয়ে আসার নিমিত্তে ট্র্যাক্স হলিডের আওতায় আনা, শিল্প মূল্যায়নের জন্য টাস্কফোর্স গঠন, বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোর কমার্শিয়াল উইং এ টেক্সটাইল প্রকৌশলী নিয়োগ, ডাইস-ক্যামিক্যাল ও টেক্সটাইল মেশিন ম্যানুফেকচারিং প্ল্যান্ট স্থাপনে সরকারি উদ্যোগের দাবি জানাচ্ছি।
কেকে/এএম