ছেলেটির নাম হাফেজ জাবের আহমদ জিহাদ। বয়স ১১ বছর। মাত্র ১৩ মাস সাত দিন সময়ে পুরো কুরআন মুখস্ত করে হাফেজ হয়ে মেধার স্বাক্ষর রাখেন জিহাদ।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকালে সখীপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের এতিমখানা রোড, মারকাজ মসজিদ সংলগ্ন মদিনাতুল উলূম মাদ্রাসায় গিয়ে কথা হয় ক্ষুদে হাফেজ জিহাদের সঙ্গে। মনের মাধুরি মিশিয়ে পবিত্র কুরআনের তেলাওয়াত করে সে। শুনে যে কেউ মুগ্ধ হবে।
মেধাবী এই শিশু মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার (বেফাক) ৪৮তম কেন্দ্রীয় হিফজুল কুরআন পরীক্ষায় সারা দেশে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। এছাড়াও ইত্তেহাদুল মাদারিসিল কওমিয়া টাঙ্গাইল জেলার কেন্দ্রীয় হিফজুল কুরআন পরীক্ষায় মেধা তালিকায় প্রথম স্থান এবং হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন সখীপুর উপজেলার হিফজুল কুরআন অনূর্ধ্ব ১০ বছর প্রতিযোগিতায় প্রথমস্থান অর্জন করে।
হাফেজ জাবের আহমদ জিহাদ খোলা কাগজকে জানায়, মা তার জন্য সব সময় চোখের পানি ফেলে দুয়া করে। বেফাক পরীক্ষার আগেও রাতভর নামাজ পড়ে তার জন্য দুয়া করেছে। এ কারণেই সে এত ভালো ফলাফল করতে পেরেছে। হাফেজ জিহাদ ভবিষ্যতে আরো বড় সাফল্য অর্জন করতে চায়। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও সুনাম কুড়াতে চায় সে।
জিহাদের বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন নোয়াখালীর মাইজদী থেকে সখীপুরে থাকছেন ১৭ বছরের বেশি সময় ধরে। এখানে ছোট একটি ব্যবসা করে সংসার চালান তিনি। এক ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে জিহাদ বড়। ছেলের এমন সাফল্যে চোখেমুখে তার তৃপ্তি ও উচ্ছ্বাসের ছাপ।
তিনি জানান, জিহাদকে আন্তর্জাতিক মানের হাফেজ-আলেম হিসেবে দেখতে চান তিনি। মদিনাতুল উলূম মাদ্রাসার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, এ মাদ্রাসার শিক্ষকদের ঐকান্তিক চেষ্টায় আমার ছেলে এত ভালো ফলাফল করতে পেরেছে। তাদের এ ঋণ আমি কখনো শোধ করতে পারব না।
মদিনাতুল উলূম মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি আবুবকর সিদ্দীক বলেন, আমাদের মাদ্রাসা ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এত অল্পসময়ে আমাদের একটি ছেলে সারা দেশে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে, আমরা আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। এমন সাফল্য যেন ধরে রাখতে পারি সেই চেষ্টাও আমরা করছি।
কেকে/এএস