ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে পাওনা টাকা চাওয়ায় চার ভাই ও তাদের বাবাকে লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটুনির পর ধারালো অস্ত্রে গুরুত্বর জখম করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে প্রতিপক্ষরা।
শনিবার (১২ এপ্রিল) দিনগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার ধামদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন পৌর এলাকার শিমরাইল গ্রামের প্রয়াত আ. জব্বাবের ছেলে মো. মতিউর রহমান(৫৫) এবং তার ছেলে রাজু মিয়া(২৭), রিয়াদ(১৬), মো. সজিব মিয়া(৩২), রমজান আলী(২৬)। আহতদের মধ্যে রাজু মিয়া ও তার বাবা মতিউর রহমানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুরুত্বর আহত রাজু মিয়া ও তার ভাই রিয়াদ বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বাবা মতিউর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করেছে চিকিৎসকরা।
আহত রাজু মিয়া জানান, সিরাজুল ইসলামের কাছে পাওনা টাকা চাওয়ায় সে দলবল নিয়ে প্রথমে আমার ভাই রমজান আলীর ওপর হামলা চালায়। রমজান আলীর চিৎকার শুনে আমার বাবা মতিউর রহমান এবং আমরা তিন ভাই ছুটে গেলে প্রতিপক্ষরা আমাদের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র-লাঠিসোঁটা দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমারা চার ভাই ও বাবা গুরুত্বর আহত হই। স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ময়মনসিংহ হাসপাতালে রেফার করে।
এতে ঘটনার দিন রাতেই ভোক্তভোগী রমজান আলী(২৭) বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন পৌর এলাকার চরনিখলা গ্রামের ইসরাফিলের ছেলে রাজা মিয়া(২৫), ধামদী গ্রামের মৃত হাবিল মিয়ার ছেলে মো. সিরাজুল ইসলাম(২৬), শাহিনুর(৩৫), আমিনুল(৪০), মো. আজিজুল(৪৩)।
অপর আসামিরা হলেন মো. আয়নাল হক(২৮), ইমন মিয়া(২২), মো. আনোয়ার(৪৫), সোহেল মিয়া(২৩), কামরুল (২৫)। ঘটনা রাতেই অভিযান চালিয়ে মামলার এজহারভুক্ত সাত নম্বর আসামি ইমন মিয়াকে(২২) গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্তদের ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি।
এ ব্যাপারে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। রাতেই অভিযান চালিয়ে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
কেকে/এজে