বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ পুর্ব বঙ্গোপসাগরের বড় বাইজদা এলাকায় মাছ ধরা ট্রলারে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অর্ধশত জেলে গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ট্রলারে থাকা মাছসহ রসদসামগ্রী লুট করে নিয়ে যায় জলদস্যুরা। তবে এখনো জলদস্যু বাহিনীর নাম জানা যায়নি।
বুধবার (৯ এপ্রিল) গভীর রাতে এ গণডাকাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।
ডাকাতি হওয়া ট্রলারের মধ্যে পাথরঘাটার সগির কোম্পানির মালিকানা এফবি তারেক-১, এফবি আব্দুল্লাহ তুফান-২ ও সেলিম চৌধুরীর মালিকানা এফবি মা ট্রলার রয়েছে। এসময় অন্তত ১০ টি ট্রলারে ডাকাতি সংঘটিত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। এতে শতাধিক জেলের মধ্যে অর্ধশত জেলে গুলিবিদ্ধ ও মারধরে আহত হয়েছে। জেলেদের সবার বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
এফবি মা ট্রলারের মাঝি মনির হোসেনের বরাত দিয়ে ট্রলার মালিক সেলিম চৌধুরী বলেন, বুধবার গভীর রাতে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ স্বশস্ত্র হামলা চালায় জলদস্যু বাহিনী। এ সময় জেলেরা বাঁধা দিলে জেলেদের ট্রলারে উঠে মারধর করে এবং দূর থেকে গুলি ছোঁড়ে । এতে দশটি ট্রলারের অন্তত ৫০ জন জেলে গুলিবিদ্ধ হয়। প্রত্যক্ষদর্শী অপর একাধিক ট্রলারের জেলেরা আমাদেরকে ফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে কোন বাহিনী জলদস্যুতা করেছে তাদের নাম পাওয়া যায়নি। এঘটনার পর আশেপাশের সকল ট্রলার স্থান থেকে সরে গেছে।
তিনি আরো বলেন এখন পর্যন্ত আমাদের জেলেদের সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি, তারা নেটওয়ার্কের বাহিরে আছে। জেলেদের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত আমাদের সাথে যোগাযোগ করেনি। এখন পর্যন্ত তারা কি অবস্থায় আছে বা চিকিৎসা নিতে পেরেছে কিনা এমন কোন খবর পাওয়া যায়নি।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, স্বশস্ত্র ডাকাতরা মালামাল লুট করে ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল করে দিয়েছে। এছাড়াও ওয়্যারলেস নিয়ে গেছে। ডাকাতির শিকার জেলেরা ভ্যাসেল জাহাজের মাধ্যমে উপকূলে সংবাদ পাঠিয়েছে। তবে ডাকাতির শিকার ট্রলারগুলো এখন কোন অবস্থায় কোথায় আছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ঘটনা শোনার পর তাৎক্ষণিক আমরা পুলিশ সুপার এবং কোস্টগার্ডকে অবহিত করেছি। ডাকাতি হওয়া জেলেদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।
বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘ট্রলার মালিকদের পক্ষ থেকে খবর আমরা জানতে পেরেছি। এনিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
এবিষয়ে জানতে দক্ষিণ জোন ভোলা কোষ্টগার্ডের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
কেকে/ এমএস