অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, সরকার গঠনের তিনমাস পার হওয়ার পর এখন দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সুনির্দিষ্ট পথনকশা ঘোষণা করুন। নির্বাচন কমিশন গঠন হওয়ার পর জাতীয় নির্বাচনের রোড়ম্যাপ দেশবাসীকে জানানো প্রয়োজন।
আজ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকালে পার্টির ঢাকা মহানগর সংগঠকদের কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ম্যান্ডেট হচ্ছে কেড়ে নেয়া ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করা। তিনি আশা করেন ঐক্যমতের ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার উদ্যোগের পাশাপাশি সরকার এই লক্ষ্যে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
সাইফুল হক বলেন, গেল ৫ আগষ্ট ছাত্র শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর একটা চরম অস্থিতিশীল অবস্থায় তিন মাস পার করাও অন্তর্বর্তী সরকারের বড় সাফল্য। সরকারের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছা নিয়ে কোন বড় দাগের কোন প্রশ্ন নেই; তবে তাদের দক্ষতা ও কার্যকারীতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর সবাই দেশ বদলাতে চায়, কিন্তু নিজেকে বদলায় না। তিনি বলেন, বিপ্লবী গণতান্ত্রিক রুপান্তরের সংগঠক হতে চাইলে নিজেদেরকেও বদলাতে হবে।সেজন্য বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রত্যেক কর্মী সংগঠককে আদর্শিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবেও নিজেদের পুনর্গঠিত করতে হবে।
এসময় তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন জনপ্রত্যাশা পূরণে দ্বিধা দোদুল্যমানতা কাটিয়ে আগামী দিনগুলোতে সরকার আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা গ্রহণ করবে।
পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন- এপোলো জামালী, মীর রেজাউল আলম হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, জোনায়েদ হোসেন, মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ ডালিম, মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, আবদুর রহমান, মাহফুজ গাজী, মোহাম্মদ রফিক, শিবু মোহান্ত প্রমুখ।
এছাড়া কর্মশালার শুরুতে গত জুলাই-আগস্টের ছাত্র শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুত্থানের শহিদ আবু সাঈদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শহিদ বদিউজ্জামাল, আবদুল লতিফ, শহিদ নাসিরুদ্দিনসহ সব শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।
কেকে/এজে