গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সর্বস্তরের তৌহিদি জনতা৷ মিছিলে মিছিলে উত্তাল হয়ে উঠেছে জেলা শহর৷ এতে হাজার হাজার প্রতিবাদী মানুষ গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদ জানান। ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ঘোষণা দেন।
সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে এ বিক্ষোভের আয়োজন করে ইমাম মুয়াজ্জিন পরিষদ।
এর আগে বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ মানুষ খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ট্রাফিক পয়েন্টে সমবেত হন৷ সমাবেশে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিগণ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, গাজায় যেভাবে ইসরায়েল মানবতাবিরোধী অপরাধ চালাচ্ছে। নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে। তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিরোধ গড়া তুলা জরুরি।
ইসরায়েলকে এই গণহত্যার জন্য চরম মূল্য দিতে হবে। এ সময় বক্তারা ফিলিস্তিনের পাশে বিশ্বের বিবেকবান মানুষকে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। বক্তারা বলেন, গাজায় ইতিহাসের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ হচ্ছে কিন্তু জাতিসংঘ নীরব ভূমিকায়। নারকীয় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ ও হত্যা বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে জাতিসংঘকে বার্তা পাঠাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বক্তারা বলেন, অচিরেই এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ না হলে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ সংঘঠিত হওয়ার শঙ্কা জানান। আর এই যুদ্ধে দেশের লাখ লাখ মুসলিম জনতা প্রস্তুত রয়েছে। মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দখলদার ইসরায়েলকে প্রতিহত করার আহ্বান জানানো হয়।
প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মাদানিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল বছির, মাওলানা তোফাজ্জল হক আজিজ, মাওলানা আনোয়ার হোসেন, মাওলানা তৈযবুর রহমান, শাখাওয়াত হোসেন মোহন, মাওলানা রফিক আহমদ, আব্দুল রকিব, মুফতি আব্দুল হক, মাওলানা রুকুন উদ্দিন, মাওলানা বেলাল আহমদ বেলাল, মাওলানা কামরুজ্জামান, আব্দুল্লাহ, সুনামগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাসুম হেলাল, অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য জিয়াউর রহমান, সাংবাদিক গিয়াস চৌধুরীসহ শহরের বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, মাদ্রাসার শিক্ষক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এদিকে গাজায় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হরতালে সংহতি জানিয়ে সুনামগঞ্জ শহরের দোকানপাট বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীবৃন্দ।
কেকে/এএস