পটুয়াখালীর বাউফলে মসজিদের পাশে গান বাজানোকে কেন্দ্র করে কমপক্ষে ১০ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম হয়েছে।

বুধবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে বাউফল সদর ইউনিয়নের কায়না গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

এদের মধ্যে গুরুতর আহত সোহরাব হোসেন (৬৫), মো. ইউসুফ মৃধা (৪৮) ও তার ভাতিজা নাসির মৃধাকে (৩৫) আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো  হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র  জানায়, মঙ্গলবার রাতে কায়না জামে মসজিদের কাছে গান-বাজনার আয়োজন করা হয়। ওই মসজিদের সাবেক সভাপতি চুন্নু মৃধার উদ্যোগে এ গান-বাজনার আয়োজন করা হয়। রাত ৯টা থেকে ২টা পর্যন্ত  গান-বাজনা  চলে।

মসজিদের পাশে এ গান-বাজনার আয়োজন নিয়ে শুরু থেকেই এলাকার মুসল্লিরা ক্ষুব্ধ ছিল। মুসল্লিরা মসজিদের কাছে গানবাজনা না করার জন্য চুন্নু মৃধাকে অনুরোধও করেন, কিন্তু তিনি কর্ণপাত করেননি। 

ঘটনার দিন সন্ধ্যার দিকে গান-বাজনার বিষয় নিয়ে সোহরব মৃধা, ইউসুফ মৃধা ও নাসির মৃধার সাথে চুন্নু মৃধার তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে চুন্নু মৃধার নেতৃত্বে দুলাল, লিটন, মজিবর, জসিম ও চৌকিদার উজ্জালসহ ১০-১৫ জন তাদের ওপর হামলা করে এবং এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। 

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। হামলাকারী ও হামলার শিকার উভয় পক্ষই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানা গেছে।

এদের মধ্যে গুরুতর আহত তিনজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা  দেওয়া হয়। 

অভিযুক্ত চুন্নু মৃধা বলেন, আমি এলাকায় থাকি না। ঢাকা নয়াবাজার প্লেনসিটের ব্যবসা করি। ঈদের বন্ধে বাড়ি আসি। আমি কেরানিগঞ্জ বিএনপির সদস্য। ঈদ উপলক্ষে এলাকায় গান-বাজনার আয়োজন করি। সেখানে প্রধা অতিথি হিসাবে জিয়া পরিষদের সভাপতি আনিচ ভাই, হাজী পলাশ ভাই ও বগার নাঈম ভাই ছিলেন। 

মূল বিষয় হলো—মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে আমার এক ভাতিজি আমার পাঁচ বছরের মেয়ে মাসরুফাকে নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে স্থানীয় দেলোয়ার মৃধার ছেলে সুমন আমার মেয়েকে মারার উদ্দেশ্যে  তার গায়ে মটরসাইকেল উঠিয়ে দেয়। খবর পেয়ে আমি মেয়েকে চিকিৎসার জন্য বাউফল হাসপাতালে নিয়ে আসি। কারা কাদের সাথে মারামারি করেছে আমার জানা নেই।

বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, গান-বাজনার বিষয়টিও শুনেছি। আবার একটি বাচ্চার গায়ে মটর সাইকেল উঠিয়ে দেওয়ার বিষয়টি শুনেছি। এখন কোন বিষয় নিয়ে মারামারি হয়েছে তা জানি না। কোনো পক্ষই এখন পর্যন্ত অভিযোগ করেনি।

কেকে/এআর