মারধর ও চাঁদা দাবির অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা আটক
পিরোজপুর প্রতিনিধি
🕐 ২:৫০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ০৩, ২০২৪
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক রায়হান আহমেদকে মারধর ও চাঁদা দাবির অভিযোগে পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি অনিরুজ্জামান অনিককে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পিরোজপুর শহরের এলজিডি অফিসের সামনে রায়হানের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই পুলিশ জেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি অনিরুজ্জামান অনিককে আটক করেছে বলে জানান পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসিকুজ্জামান।
আটক অনিরুজ্জামান অনিক (৩৩) পিরোজপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলুর ছেলে।
গুরুত্বর আহত মঠবাড়িয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক রায়হান আহমেদকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে আনা হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
রায়হান আহমেদ জানান, সন্ধ্যার আগে তিনি মঠবাড়িয়া থেকে পিরোজপুর শহরে আসেন। পরে শহরের এলজিডি অফিসের কাজ শেষ করে বের হলে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অনিরুজ্জামান অনিক কয়েকজন লোক নিয়ে তার গতিরোধ করে। এসময় অনিক তার কাছে জানতে চায়, তার (অনিকের) খোঁজ খবর নেওনা কেন? এরপর নানা কথা বলে তাকে হঠাৎ করে মারতে শুরু করে। অনিক ও তার সাথে থাকা কয়েকজন মিলে অনেক সময় তাকে মারধর করে। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে কতর্ব্যরত চিকিৎসা ডা. রমজান আলী জানান, গুরুত্বর আহতাবস্থায় ছাত্রলীগ নেতা রায়হানকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. আসিকুজ্জামান জানান, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক রায়হান আহমেদকে মারধর ও চাঁদা দাবির অভিযোগ পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি অনিরুজ্জামান অনিককে আটক করা হয়েছে। এঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শেখ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মঠবাড়িয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক রায়হান আহমেদ শহরের এলজিডি অফিস থেকে বের হলে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অনিরুজ্জামান অনিক লোকজন নিয়ে রায়হানের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে আহত রায়হানকে উদ্ধার করেছে এবং অনিককে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসে।