বাংলাদেশের ঋতুবৈচিত্র্যের অন্যতম হচ্ছে শরৎকাল। শরৎকালের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কাশফুল। এই কাশফুলের নরম ছোঁয়া, শুভ্রতা ও চারিদিকে নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর মাঠ-ঘাটজুড়ে দোল খাচ্ছে সাদা কাশফুল। সেই শুভ্র কাশফুলের সৌন্দর্য ঘিরেই সৃষ্টি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। বানারীপাড়াতে বেশ কয়েকটি জায়গায় কাশফুল দেখতে মানুষজন ভিড় করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরিশালের বানারীপাড়া পৌরসভায় ফেরীঘাট-দক্ষিন নাজিরপুর সড়কের পাশে ২ নং ওয়ার্ডের দেবনাথ পাড়ায় বিশাল জায়গাজুড়ে আছে দিগন্তজোড়া কাশফুল ও হোগলা পাতার বন। বন্দর বাজার সংলগ্ন বাইপাস সড়ক ও সন্ধ্যা নদীর পাশের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে গড়ে উঠেছে শরতের কাশবন। প্রতিদিন সেখানে ভিড় জমছে পরিবার-পরিজন,তরুণ-তরুণী ও শিশুদের। অনেকেই প্রিয়জনকে নিয়ে ছুটে আসছেন শরতের কাশফুলের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি তোলা ও সেলফি শেয়ারের প্রতিযোগিতায়ও মেতে উঠছেন দর্শনার্থীরা। বিভিন্ন জায়গায় কাশফুল ফুটলেও এ স্থানটি উল্লেখ্যযোগ্য। এসব জায়গায় এরই মধ্যে কাশফুল ফুটতে শুরু করেছে। তাই এ জায়গায় প্রতিদিনই সৌন্দর্যপিপাসু অসংখ্য মানুষ ছুটে যাচ্ছেন। বিশেষ করে শুক্র ও শনিবার বন্ধের দিনে ভিড় বেশি হয়। এ ছাড়া সাধারণ মানুষের পাশাপাশি টিকটকারদের আনাগোনাও লক্ষ্যণীয়। পাশাপাশি অনেকেই কন্টেন্ট বানাতেও ছুটে যাচ্ছেন মনোমুগ্ধকর কাশবনে।
শরতের শুভ্র কাশফুল নদী বা জলাভূমির তীরে, মাঠে ও পথে দেখা যায় যা শান্ত ও স্নিগ্ধ এক মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য তৈরি করে বাতাসের দোলায় দুলতে থাকে কাশফুলের দল আকাশে সাদা মেঘের সঙ্গে মিশে যাওয়ার মত এক স্বপ্নময় পরিবেশ সৃষ্টি করে, যা কবি সাহিত্যিকদের কল্পনার খোরাক যোগায় কাশফুল শরতের আগমনের প্রতীক এবং এক অপার সৌন্দর্য প্রকৃতি প্রেমীদের মুগ্ধ করে তোলে।
স্থানীয় দর্শনার্থী দম্পতি মো. আসাদুজ্জামান ও রুকাইয়া নুসরাত কেয়া তাদের একমাত্র সন্তান (ছেলে) কে নিয়ে ঘুরতে আসেন এই সন্ধ্যা পাড়ে। এ দম্পতি জানান, প্রকৃতির এই সৌন্দর্য আমাদের মনে ভীষণ আনন্দ জাগায়। কাশবনের এমন দৃশ্য দেখলে মন প্রফুল্ল হয়ে ওঠে।
প্রতিদিন বিকালে সন্ধ্যা পাড়ের এই অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে প্রকৃতিপ্রেমীদের ব্যাপক আনাগোনা দেখা যায়।
কেকে/ এমএস