গলায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মাহাবুবের আর্তনাদ, আমি গরীব ও অসহায় মানুষ। আমার চিকিৎসার জন্য আমি দেশের বিত্তবান ও সমাজের সকল সহ্রদয়বান ব্যক্তিদের সহায়তা চাচ্ছি। আমি সকলের সহায়তায় বাঁচতে চাই।
রিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন মাহাবুব হোসেন (৫০)। তিনি ভোলার লালমোহন পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড ওয়েষ্টার্ণপাড়া বিআরডিবি কলোনির খাল পাড়ের বাসিন্দা। বর্তমানে গলায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ অবস্থায় ঘরে শুয়ে বসে দিন কাটে তার। গলায় ক্যান্সার হয়েছে এই কথা শুনেই যেন তার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। চিকিৎসার জন্য জীবিকার শেষ সম্বল রিকশাটি বিক্রি করে এখন অসহায় হয়ে সকলের সহায়তা চাচ্ছেন।
রিকশা চালক মাহাবুব হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানায়, ‘রিকশা চালিয়ে স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ১ মেয়েকে নিয়ে মোটামুটি ভালোই চলছিল আমার সংসার। গত এক বছর আগে আমার গলা ব্যথা দেখা দেয়। গলা ব্যথার কারণে ঠিকমতো খাবার খেতে পারতাম না। কিছু খেলেই গলায় সমস্যা দেখা দিত, ব্যথা করতো। স্থানীয় ডাক্তারের কাছ থেকে গলা ব্যথার ওষুধ খেতে হতো নিয়মিত। এর কিছুদিন পর খাবার খেলেই গলায় আটকিয়ে যেত। খেতে পারতাম না। এই জন্য নাক, কান, গলার ডাক্তার দেখানোর পর ডাক্তার পরামর্শ দিলেন দ্রুত ঢাকাতে ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা করাতে। এরপর ঢাকার বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (পিজি) ডাক্তার দেখালে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তার গলায় ক্যান্সার ধরা পড়ে। ঢাকার পিজির ডাক্তারগণ বলেছেন, মোট ৬টি ক্যামো থেরাপি দিলে আমার ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিটি ক্যামো থেরাপির জন্য খরচ লাগবে ৪০ হাজার টাকা।’
মাহাবুব আরও বলেন, ‘আমি রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। কোথায় পাবো ক্যামো থেরাপির জন্য এত টাকা! কীভাবে করবো চিকিৎসা! থাকি সরকারি খালের পাশের খাস জমিতে। ঢাকার পিজিতে ডাক্তার দেখানোর পর বাড়িতে এসে নিজের শেষ সম্বল রিকশা বিক্রি করে এবং ধার-দেনা করে ডাক্তারের কথা মতো গত মাসে একটি ক্যামো থেরাপি দিয়েছি। একটি ক্যামো থেরাটি দিতে ৪০ হাজার টাকা লাগে। এখন আমার সব শেষ এবং এই মাসে কীভাবে থেরাপি দিবো সে চিন্তায় আরো অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমার আরো ৫টি ক্যামো থেরাপি দিতে হবে। আমি গরীব ও অসহায় মানুষ। আমার চিকিৎসার জন্য আমি দেশের বিত্তবান ও সমাজের সকল সহ্রদয়বান ব্যক্তিদের সহায়তা চাচ্ছি। আমি সকলের সহায়তায় বাঁচতে চাই।’
রিকশা চালক মাহাবুব হোসেনের সাথে সহায়তার জন্য তার ব্যক্তিগত মোবাইলে যোগাযোগ করতে পারেন এই নাম্বারে ০১৭২৭৪২৭৬৫৫।
লালমোহন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মাসুদ বলেন, ‘ক্যান্সারে আক্রান্ত মাহাবুব হোসেন নিজে অথবা তার পরিবারের সদস্য কাগজপত্র নিয়ে অফিসে যোগাযোগ করলে আমরা তার জন্য অনলাইনে আবেদন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো এবং সকল কাগজপত্র দেখে তাকে ক্যান্সারের এককালীন অনুদান দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।
কেকে/বি