বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫,
১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম: সিসিইউতে খালেদা জিয়া      নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালে হাসিনার বিচার হচ্ছে : রিজভী      প্লট দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফের ১৮ বছর কারাদণ্ড      প্লট দুর্নীতি : জয়-পুতুলের পাঁচ বছর কারাদণ্ড      শেখ হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড      শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের মামলার রায় আজ, আদালতে বিজিবি মোতায়েন      এবার একযোগে ১৫৮ ইউএনওকে বদলি      
খোলা মত ও সম্পাদকীয়
তারেক রহমানের নরম কৌশল: ঝুঁকিতে বিএনপি?
মো. আজমির হোসেন
প্রকাশ: সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:২২ পিএম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আসন্নবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্রিক শক্তি প্রদর্শন করার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সফট পলিটিক্স দক্ষিণ এশীয় বাস্তবতার সঙ্গে বিপজ্জনক অমিল হিসেবে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অবস্থান করছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আজ একটি মৌলিক টানাপোড়েন স্পষ্ট হয়ে উঠছে—তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি যে সফট, ভদ্র, উদার, নীতিনিষ্ঠ ও নম্রতার রাজনীতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে, সেটি আধুনিক উন্নত দেশের সভ্য রাজনীতির লক্ষণ হলেও দক্ষিণ এশীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতির সঙ্গে গভীর সাংঘর্ষিক।

বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান অঞ্চলের রাজনীতিকে যদি কেউ দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে বিশ্লেষণ করে তাহলে তাকে স্বীকার করতেই হবে, এখানে রাজনীতি শুধু নীতি, আদর্শ, সততা, উদারতা বা উন্নয়ন পরিকল্পনা দিয়ে চলে না; চলে শক্তি প্রদর্শন, দখল, ভয়, তীক্ষ্ণ ন্যারেটিভ এবং নিরবচ্ছিন্ন সংগঠনের ওপর। ফলে তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শন দীর্ঘ দেড় যুগে লন্ডনে থেকে আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে যতই উন্নত চিন্তা ভাবনার উদারতার ও মানবিকতার হোক, বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে এর দূরত্ব বিএনপিকে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর সামনে অনেকটা দুর্বল করে তুলছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে এদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের অতীত ফলাফল বিশ্লেষণে এবং দল হিসেবে বিএনপির ও আওয়ামী লীগের তুলনায় জামায়াতে ইসলামী ও সদ্য গঠিত এনসিপির মতো ছোট দলগুলোও জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে শক্তি প্রদর্শন করার মাধ্যমে আক্রমণাত্মক কৌশল দিয়ে রাজনৈতিক গ্রাউন্ড দখল করে দিন দিন আগের তুলনায় শক্তিশালী হয়ে উঠছে। দেশের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ কিংবা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম সব জায়গায় জামায়াতের ও এনসিপির সহযোগী সংগঠনগুলো যে ভয়ঙ্করভাবে অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে, তা এখন অনেকগুলো ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ইসলামি ছাত্র শিবিরের একক আধিপত্য বিজয়ের ইতিহাস সৃষ্টি করে প্রমাণিত।

জামায়াত ও এনসিপি খোলাখুলিভাবে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে স্কুল কলেজের নেতৃত্ব ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের দখল নিচ্ছে, নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করছে, ন্যারেটিভ তৈরি করছে এবং সবচেয়ে বড় কথা আওয়ামী লীগ বিহীন মাঠে বিএনপির কেউ তাদের সরাসরি বাধা কিংবা প্রতিহত করছে না, এসব কারনে জামায়াত ও এনসিপি মনে করছে যে, বিএনপির এখন প্রতিহত করার পাল্টা শক্তি নেই, প্রতিরোধ করার ব্যাপক ক্ষমতা নেই এবং মামলা-হামলা মোকাবিলা করা বা সাংগঠনিকভাবে প্রতিরোধের পদক্ষেপ নেওয়ার মতো রাজনৈতিক ইচ্ছাও বিএনপির নেই।

অন্যদিকে বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এখন তারেক রহমানের সুশীল ও সভ্য রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে শক্তি প্রদর্শনের পরিবর্ততে তুলনামূলক এডজাস্টমেন্ট করার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ছাত্রদলের ডাকসু, রাকসু, চকসু, জাকসুর ফলাফল মেনে নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী বিজয়ীদের সাথে তাল মিলিয়ে চলার নীতি দেখে তাদের অনেকে ভীত-সন্ত্রস্ত বলে মন্তব্য করে। এদিকে রুহুল কবির রিজভীর সেন্ট্রাল প্যাডের পাতায় যেকোনো ইস্যুতে যাচাই বাছাই এর আগেই সরাসরি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বহিষ্কার করার আতঙ্কে ছাত্রদল তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রতিরোধ করতে সংকোচ বোধ করছে। এই উদাহরণ যুবদল, মূল দল, জেলা কমিটি, উপজেলা কমিটি সবক্ষেত্রেই দৃশ্যমান।

২০২৪ এর জুলাই গণঅভ্যুত্থানে এবং পাঁচ আগস্টের পর যে ছাত্রদলকে অত্যন্ত রাজধানী থেকে শুরু করে সারাদেশে সাহসী মনে হয়েছিল, তারা আজ নিরব ও চুপচাপ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাত্রদলের বিপক্ষে যারা লিখত তাদের বেশিরভাগ ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী সমর্থকদের অবস্থাও একইভাবে বিএনপি বিরোধী শক্তি প্রদর্শন করায় ব্যস্ত। যারা আগে বেনামে বিএনপিকে সমালোচনা করত কিংবা গালাগালি করত, তারা এখন স্বনামে প্রকাশ্যেই তারেক রহমান, খালেদা জিয়াকে স্থায়ী কমিটি এবং কেন্দ্রীয় কমিটির অনেক নেতার বিরুদ্ধে সমালোচনামূলক আক্রমনাত্বক বক্তব্য প্রদান করছে। কারণ তারা নিশ্চিত বিএনপি আসন্ন ভোটের জন্য এই মুহূর্তে প্রতিরোধ করবে না কিংবা তাদের বিপক্ষে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে না।

এই চিত্র শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক বাস্তবতার চিত্র। ভারতের রাজনৈতিক মাঠেরও একই চিত্র। কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী ভারতীয় রাজনৈতিক নেতা হিসেবে অতিমাত্রায় ভদ্র, উদার, গান্ধীবাদি সুশীল ও মানবিক রাজনীতি করছেন। কিন্তু সেখানে তাকে নিয়ে সমালোচনা এবং অনলাইনে ট্রলই বেশি হচ্ছে। কারণ ভারতীয় ভোটাররা জানে, রাজনীতি হলো আধিপত্য বিস্তার, সাংগঠনিক সামর্থ্য, বিশাল ন্যারেটিভ ও শক্তির প্রদর্শনের লড়াই। আর এই লড়াইয়ে বিজেপির আগ্রাসী শক্তি প্রদর্শন করার রাজনীতি পরিষ্কারভাবে এগিয়ে। পাকিস্তানেও ইমরান খান কিংবা নওয়াজ শরিফের রাজনীতিও শক্তি, দমন, দখল, প্রভাব, আধিপত্য ছাড়া চলেনি। শ্রীলঙ্কায় রাজাপাকসে পরিবারের রাজনৈতিক শক্তি, আধিপত্য, দখল, আগ্রাসন ও সংগঠনের দৌড় থেকে দীর্ঘদিন ক্ষমতার কেন্দ্রে অবস্থান। সুতরাং সারা উপমহাদেশ ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনামূলক হলেও অস্বাভাবিক নয়। বরং দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাসে এইসব চিত্র একটি ধারাবাহিক অংশ। এই প্রেক্ষাপটে সফট, ভদ্র, সুশীল পলিটিক্স শুরুতে সভ্য সমাজে ভালো শোনালেও বাস্তবে দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দুর্বলতার জন্ম দেয়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের একটি ইতিবাচক দিক হলো, আগামী দিনের রাষ্ট্র পরিচালনায় তিনি প্রফেশনাল, শিক্ষিত, বুদ্ধিদীপ্ত, উদার, আধুনিক, নীতি-ভিত্তিক ও ত্যাগী রাজনৈতিক এবং কিছু ক্ষেত্রে অরাজনৈতিক মানুষদের জায়গা দিচ্ছেন। যার প্রকৃত উদাহরণ বিএনপির আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২৩৮ আসনে একক প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া, যাদের বেশিরভাগই তারেক রহমানের সুশীল সভ্য রাজনৈতিক চিন্তার প্রার্থী। কিন্তু বিএনপির দলীয় কমিটিগুলো গঠনের প্রেক্ষিতে একই মানদণ্ড সংগঠন পরিচালনায় অনুসরণ করা হয়নি। যেসব পদের জন্য দক্ষতা যোগ্যতা লাগে, সেখানে বসানো হয়েছে “নট ফিট ফর পারপাস” নেতৃত্ব। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, রুহুল কবির রিজভী, নজরুল ইসলাম, সেলিমা রহমান, রুমিন ফারহানা, হাবিব উন নবী সোহেল হাই প্রোফাইল কাউকে তারেক রহমান আপাতত প্রাথমিক মনোনয়নের তালিকায় রাখেন নাই। আর দল হিসেবে টুকু সাহেব আন্দোলনের মাঠে ত্যাগ, সাহস ও নেতৃত্বে অদ্বিতীয়—এটা বিএনপির যে কেউ স্বীকার করবে। কিন্তু তাকে প্রচার সম্পাদক করা এমন একটি সিদ্ধান্ত, যা সংগঠনের বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না। কারণ প্রচার সম্পাদককে ২৪ ঘণ্টা মাঠে থাকতে হয় মিডিয়ার মুখোমুখি হতে হয়, মিডিয়া ব্যক্তিদের সাথে গভীর সম্পর্ক রাখতে হয়, দলের বিপক্ষে ন্যারেটিভ কন্ট্রোল করতে হয়, ক্ষুদ্র ঘটনা থেকে বড় সংকট সব সামলাতে হয় দক্ষভাবে। আন্দোলনের মাঠে সুদক্ষ নেতৃত্ব আর মিডিয়া ন্যারেটিভ সামলানো এই দুই দক্ষতা এক নয়। তাই দায়িত্ব–দক্ষতার অমিল বিএনপির মিডিয়া অবস্থানকে দুর্বল করেছে।

মিডিয়ার ক্ষেত্রেও বিএনপি এখনো কাঙ্ক্ষিত অবস্থানে নেই। একসময় অনেকে মনে করতেন, দেশের বেশিরভাগ মিডিয়া সেক্যুলার বা আওয়ামী লীগপন্থী বলে বিএনপি জায়গা পাচ্ছে না। কিন্তু এখন আওয়ামী লীগবিহীন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন জাগে—বিএনপি কেন মিডিয়াকে ন্যারেটিভ দিতে পারছে না? কারণ মিডিয়াগুলো শুধু রাজনৈতিক নীতি ও আদর্শ দেখে না তারা দেখে সংগঠনের প্রভাব, লবিং, যোগাযোগ, প্রেশার, ট্যাকটিকস ও উইং-ভিত্তিক সুসম্পর্ক নির্মাণ।

২০২৬ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামী এবং এনসিপি ঠিক সেটাই করছে। একদিকে চাপ তৈরি করছে। অন্যদিকে আমীরে জামায়াত ডা. মো. শফিকুর রহমান এবং নায়েবে আমীর আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের মডেলে সৌহার্দ্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি দেখাচ্ছে। আবার মিয়া গোলাম পরওয়ার কিংবা শাহজাহান সাহেবের মাধ্যমে জামায়াত অন্যদিকে হুমকি-ধামকি শক্তি ও আধিপত্যবাদের রাজনৈতিক কৌশল স্থাপন করছে। নাহিদ, আখতার ও জারার মাধ্যমে এনসিপি ঠিক তদ্রূপ ভদ্রতার ও সুশীলতার পরিচয় দিচ্ছে। অন্যদিকে হাসনাত, সারজিস, নাসিরুদ্দিনের হুমকি-ধামকি ও আধিপত্যবাদের মাধ্যমে তারা মাঠ এবং মিডিয়ার জায়গা দখল করে ফেলছে।

বিএনপি সেখানে অতি নরম, অতি সুশীল, অতি উদার, অতি ভদ্র, অতি নীরব এবং অতি প্রতিক্রিয়াশীল হিসেবে নিজেদের অবস্থান প্রকাশ করছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো গত দেড় বছরের তারেক রহমানের সফট পলিটিক্সে কি বিএনপির ভোটব্যাংক বা জনসমর্থন বেড়েছে? কোনো জরিপ, মাঠ পর্যবেক্ষণ, অনলাইন ন্যারেটিভ বা সংগঠনের দখল, কোনো জায়গায়ই সেই বৃদ্ধি পাওয়া দৃশ্যমান নয়। কিন্তু জামায়াতের ও এনসিপির শক্তি যদিও সমালোচিত—তবুও তা অনেক গুণ বেড়েছে। কারণ উপমহাদেশে শক্তি দেখাতে হয়, রাজনৈতিক মাঠের জায়গা দখল করতে হয়, মিডিয়ার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নিয়ন্ত্রণ নিতে জানতে হয়, ন্যারেটিভ আগেভাগে বসাতে হয়।

তারেক রহমান নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দলের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের প্রতীক। উন্নত দেশে দীর্ঘদিন অবস্থান, তীক্ষ্ণ মেধা, দূরদৃষ্টি, রাজনৈতিক শুদ্ধিকরণ এবং আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তায় তিনি অগ্রগামী। কিন্তু বাস্তবতা হলো—দক্ষিণ এশিয়া স্ক্যান্ডিনেভিয়া নয়। এখানে শুধু নীতি আদর্শ নয়—নীতির সঙ্গে শক্তি, সংগঠন, ন্যারেটিভ, প্রতিরোধ ও মাঠ দখলও প্রয়োজন। রাজনীতি এখানে “সত্য ন্যায় ও আদর্শ একদিন জিতবেই” এমন সরল বিশ্বাসে চলে না। রাজনীতি এখানে জয়ী হয় যে বেশি প্রস্তুত, বেশি সংগঠিত, বেশি সমালোচনাকারী, বেশি আক্রমনাত্বক এবং অতিমাত্রায় কৌশলী।

সুতরাং তারেক রহমানকে সফট, সুশীল ও ভদ্র পলিটিক্স বাতিল করে নয়, সেটির সঙ্গে দক্ষিণ এশীয় বাস্তবতার সামঞ্জস্য গড়ে না তুলতে পারলে বিএনপি আরও পিছিয়ে পড়বে। তারেক রহমান যদি এই নৈতিক রাজনীতিকে বাস্তবতার সঙ্গে মিলিয়ে নতুন শক্তিমত্তার, বুদ্ধিমত্তার কৌশল তৈরি করেন তবে তিনি শুধু বাংলাদেশের জাতীয় নেতা হিসেবে নন, দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ক্যানভাসেই নতুন ধারা তৈরি করতে পারবেন। কিন্তু যদি আওয়ামী লীগ আমলের ১৭ বছরের মত বিএনপির পুরোনো রাজনৈতিক কৌশলের ভুলগুলো পুনরাবৃত্তি হয়, তাহলে প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তা, বুদ্ধিমত্তা, মাসল-পলিটিক্স এবং ন্যারেটিভ-বলিষ্ঠতা বিএনপির জন্য বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াবে। যার ফলাফল আসন্ন ২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিপজ্জনক সীমারেখার অবস্থান ভোটের ফলাফলেও হয়তো বিএনপির জন্য অশনী সংকেত হিসেবে দেখা দিতে পারে।

লেখক : রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও শিক্ষাবিদ, ডীন ও চেয়ারম্যান, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

কেকে/ আরআই
আরও সংবাদ   বিষয়:  তারেক রহমান   বিএনপি  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

সিসিইউতে খালেদা জিয়া
নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালে হাসিনার বিচার হচ্ছে : রিজভী
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনে বুয়েটের প্রতিনিধি দল
৬০ জন প্রশিক্ষিত তরুণ-তরুণী পেলেন কর্মসংস্থানের সুযোগ
নালিতাবাড়ীতে চলতি আমন মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহ শুরু

সর্বাধিক পঠিত

চট্টগ্রামে কবির হোসেন সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ১৮ কোটি টাকার ঋণখেলাপির মামলা
কলাপাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
বুধবারের আলোচিত ছয় সংবাদ
প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল
এবার একযোগে ১৫৮ ইউএনওকে বদলি

খোলা মত ও সম্পাদকীয়- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close