নরসিংদীতে দ্বিতীয় দফায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এতে জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
শনিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ভূমিকম্প অনুভূত হলে বাসাবাড়ি, দোকানপাটসহ বিভিন্ন স্থাপনায় থাকা মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে বাইরে বের হন।
স্থানীয়রা জানান, এর আগে সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে ভূমিকম্পন হলেও বেশিরভাগ মানুষ সেটি টের পাননি। তবে সন্ধ্যায় হওয়া কম্পনে অধিকাংশ মানুষ কম্পন অনুভব করেন। শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত টানা তিনবার ভূমিকম্পের উৎপত্তি নরসিংদীতে হওয়ায় জনমনে আতঙ্ক বেড়েছে।
জানা যায়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সদর উপজেলার অফিস ভবন, সার্কিট হাউজ, পলাশ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চারটি আবাসিক ভবনসহ শতাধিক ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, এত বড় ভূমিকম্প হলেও প্রশাসনের কোন তৎপরতা মাঠে দেখা যায়নি।
এদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত পলাশ রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের মাঠ ও ডেইলি ফার্মের মাটি ফাটলের নমুনা সংগ্রহ করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল।
নরসিংদী আবহাওয়া অফিস থাকলেও এ বিষয়ে তেমন কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার আনোয়ার হোসেন বলেন, ভূমিকম্পসহ বিষয়গুলো কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন জানান, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ভবনে ফাটল ধরা ও ক্ষতি নিরূপণ কাজ চলছে।
তিনি আরও জানান, হেলেপড়া ও ফাটলধরা ভবন চিহ্নিত করতে পৌর কর্তৃপক্ষ চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করেছে। নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য এখনও জানা যায়নি।
এদিকে ভূমিকম্পের কারণে ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুনে ক্ষতি হলে রাতেই মেরামত করে জাতীয় গ্রিডের সাথে সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়েছে।
কেকে/ আরআই