বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তবর্তী রামু উপজেলায় দেশীয় তৈরির এক নলা বন্দুক ও ছয় রাউন্ড গুলিসহ তিন যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঈদগড় ইউনিয়নের পানিস্যা ঘোনা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকৃতরা হলেন ঈদগড় ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ করলিয়া মুরার মো.
হারুনুর রশিদের ছেলে মামুনুর রশিদ (আকিব), বাইশারী ইউনিয়নের সাত নম্বর
ওয়ার্ডের নেজাম উদ্দিন ও একই ওয়ার্ডের সাইফুল ইসলাম।
শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এলাকাবাসী অস্ত্র পাচারের খবর পেয়ে ওঁৎ পেতে থাকে। প্রায় আধ ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তিন যুবক পলিথিনে মোড়ানো প্যাকেটে দেশীয় তৈরি বন্দুক ও গুলি নিয়ে বাইশারীর দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় স্থানীয়রা তাদের আটক করে ঈদগড় ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিজানুর রহমানকে খবর দেন। খবর পেয়ে ঈদগড় পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের হেফাজতে নেয়।
স্থানীয়রা জানান, আটক ব্যক্তিরা প্রথমে পালানোর চেষ্টা করলেও পরে জনতার চাপে আত্মসমর্পণ করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, ঈদগড় ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের মৃত শহর আলীর ছেলে ও সাবেক গ্রাম পুলিশ নূর মোহাম্মদ (কালু) তাদের মাধ্যমে অস্ত্র ও গুলি বাইশারী এলাকায় পাচার করছিলেন।
ঈদগড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই খোরশেদ আলম বলেন, ‘স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বারের মাধ্যমে খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ পাঠানো হয় এবং তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বহন করা দেশীয় বন্দুক ও ছয় রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়েছে। কোথা থেকে এবং কীভাবে অস্ত্র তৈরি ও পাচার করা হচ্ছে—সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।’
ঘটনার পর এলাকায় চরম উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রামুর বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্র পাচারের নেটওয়ার্ক সক্রিয় থাকলেও কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়ায় অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
রামু থানা পুলিশ জানিয়েছে, আটক তিন যুবকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং এতে জড়িত অন্যদেরও চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।