আয়ারল্যান্ডকে ৫০৯ রানের পাহাড় সমান লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থাকা মুমিনুল হক ৮৭ রান করে আউট হন গ্যাভিন হোয়ের বলে কার্টিস ক্যাম্ফারকে ক্যাচ দিয়ে। ২৯৭ রানে চতুর্থ উইকেট হারানো বাংলাদেশ এরপরই ঘোষণা করে দেয়। লিড দাঁড়িয়েছে ৫০৮ রান।
লাঞ্চের আগে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের রান ছিল ২৮০। তাতে লিড দাঁড়ায় ৪৯১ রান। প্রথম টেস্টের মতো দ্বিতীয় টেস্টেও দাপুটে পারফরম্যান্স করতে থাকে ব্যাটাররা। লাঞ্চের পর নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো ৫০০ রানের লিড পেরোলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
শততম টেস্ট খেলতে নামা মুশফিকের এই বিশেষ ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখতে যেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল বাংলাদেশের ব্যাটাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে অর্ধশতক আদায় করে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক। দুটি ৪ ও একটি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি। ওয়ানডে মেজাজে খেলা মুমিনুলের ইনিংসে ছিল ১০টি চার। টানা ৩ ইনিংসে ফিফটি করেন তিনি। মুশফিকের সঙ্গে এই ইনিংসে জুটি গড়েন ১২৩ রানের।
২০২৩ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ৬৬১ রানের লিড নেয়। সেই ম্যাচে ৫৪৬ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ। যা কিনা টেস্ট ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে হোয়ে পেয়েছেন ২ উইকেট, একটি করে উইকেট নেইল ও ম্যাকব্রাইনের ঝুলিতে।
এর আগে, চতুর্থ দিনের শুরুতে ৬ বলের মধ্যে দুই উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ৭৮ রান করে সাদমান ইসলাম সাজঘরে ফেরার পর ১ রান করে আউট হয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও।
শনিবার (২২ নভেম্বর) ১ উইকেটে ১৫৬ রান নিয়ে ব্যাটিং করতে নামে স্বাগতিকরা। প্রথম ৩ ওভারেই একটি করে বাউন্ডারি আসে। যার দুটি সাদমানের ব্যাট থেকে আর অন্যটি মুমিনুলের।
দুই ব্যাটারকেই আত্মবিশ্বাসী মনে হলেও ম্যাকব্রাইনের বলে ৭৮ রান করে আউট হন সাদমান লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে। দ্বিতীয় টেস্টেও সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে সুযোগ হাতছাড়া করলেন তিনি। ১৭৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
উইকেটে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৫ বল পর নেইল জর্ডানের টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম শিকারে পরিণত হন তিনি মাত্র ১ রান করে। গালিতে ক্যাচ দেন আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নির হাতে। ১৭৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
তৃতীয় দিন ১১৯ রানের উদ্বোধনী জুটি হয় জয় ও সাদমানের। ৬০ রান করে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন জয় গ্যাভিন হোয়ের বলে।
কেকে/এআর