কক্সবাজারের টেকনাফে বসতঘরে গুলি চালিয়ে দরজা ভেঙে নুরুল ইসলাম নামে এক এনজিও শ্রমিককে অপহরণ করেছে ডাকাতদল। তারা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার খবর পেয়ে তাকে উদ্ধারে এসে ডাকাতদলের সঙ্গে এপিবিএন পুলিশের মাঝে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রাত ৯ টার টেকনাফের হ্নীলা পশ্চিম লেদায় ওই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন অপহৃত নুরুল ইসলামের ছেলে কামাল হোসেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার আমরা পরিবারের সদস্যরা বাড়ির ভেতরে ছিলাম। হঠাৎ করে পাহাড়ি দিক থেকে ২০ থেকে ৩০ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাতদল আমাদের বাড়ির সামনে এসে ঘেরাও করে। তারা প্রথমে বসতঘরে প্রবেশের চেষ্টা করে, কিন্তু দরজা শক্ত থাকায় ভেতরে ঢুকতে না পেরে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে।
পরে বড় হাতুড়ি দিয়ে দরজা ভেঙে তারা ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়ে। ঢোকার পর ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং আলমারি তছনছ করে নগদ এক লাখ টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়। এরপর আমার বাবা নুরুল ইসলামকে টেনে হিঁচড়ে মারধর করে এবং অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাদের বাড়িতে প্রবেশের সময় থেকে অপহরণ করে নেওয়ার মুহূর্ত পর্যন্ত প্রায় ৫০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করা হয়।
তিনি আরও জানান, আমাদের বাড়ির পাশেই এপিবিএন পুলিশ ক্যাম্প। সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়তে শুরু করলে ভয় পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ক্যাম্পে খবর দিই। কিন্তু তাৎক্ষণিক কোনো সহযোগিতা পাইনি। লাগাতার গুলির শব্দে আশপাশের কেউও এগিয়ে আসতে পারেনি।জ
ডাকাতদল ঘরের সব জিনিসপত্র ভাঙচুর করেছে ও লুটপাট চালিয়েছে। এখনো পর্যন্ত বাবাকে কোথায় নিয়ে গেছে বা তার অবস্থা কী,তা কেউ জানে না। আমরা চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। আমার আব্বা এনজিও সংস্থার একজন শ্রমিক।
টেকনাফ ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এপিবিএন পুলিশের লেদা ২৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম রাজু জানান, বসতঘরে ডাকাতদলের বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন।এসময় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে প্রায় ৬১ রাউন্ড গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে কয়েকটি অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্ৰুপ রয়েছে, তারা নুরুল ইসলাম কে অপহরণ করতে পারে। তাকে উদ্ধারের জন্য পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
কেকে/লআ