পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় চিরকুট লিখে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর রেলওয়ে লাইন থেকে জিয়াউর রহমান জিয়া (৪৫) নামে টেইলার্স ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাতে আটঘরিয়া উপজেলার মাঝপাড়া রেললাইন এলাকা থেকে এ মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে দুপুরে ভাঙ্গুড়া বাজার এলাকা থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
জিয়া ভাঙ্গুড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর সারুটিয়া ওয়াবদা এলাকার মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে। তিনি ভাঙ্গুড়া বাজারে সেঞ্চুরি টেইলার্সের মালিক।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো সকালেই দোকানে যান জিয়া। দুপুরে তার ছোট ছেলে মো. ইজাজ হোসেন খাবার নিয়ে দোকানে গিয়ে বাবাকে সেখানে পাননি। আশেপাশে খোঁজ নিয়েও কোনো তথ্য মেলেনি। পরে দোকানের টেবিলে ভাঁজ করে রাখা একটি কাগজে চোখ যায় তার। সেখানে লেখা ছিল, ‘দোকান-সংসার চালাইতে পারলাম না, তাই দুনিয়া ত্যাগ করিলাম। কেউ দায়ী নয়।’
নিচে লেখা ছিল তার নাম ও তারিখ ১৯/১১/২০২৫। তবে এ চিরকুট পাওয়ার পর পরিবার ও স্বজনরা চারদিকে খোঁজ চালিয়েও কোনো তথ্য পায়নি।
নিহতের ছোট ছেলে ইজাজ হোসেন বলেন, ‘বুধবার দুপুরে বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে গিয়ে দেখি দোকানে বাবা নেই। এ সময় টেবিলের ওপর দোকানের অর্ডার খাতায় বাবার লেখা ওই চিরকুটটি দেখতে পাই। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও বাবাকে পাওয়া যায়নি। আজ বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) ভোরে খবর আসে বুধবার সন্ধ্যায় তিনি ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন।’
তবে, ইজাজ লেখাগুলো কলম দিয়ে মুছে ফেলেছেন বলে তিনি দাবি করেন।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নিখোঁজের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে একটি জিডি করা হয়েছিল। তদন্ত চলমান থাকা অবস্থায় আটঘরিয়া থেকে তার লাশ পাওয়া যায়।’
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ বাজার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দুলাল উদ্দিন বলেন, ‘ওই লোকটি বুধবার সন্ধ্যায় রেললাইনের ওপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় পিছন দিক থেকে ট্রেন এলে তিনি কাটা পড়েন। এতে তার মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে ও পা কাটা পড়ে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
কেকে/এমএ