জামালপুর-১(দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে জাতীয় সংসদের আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছেন জামালপুর-১ আসনের পরিচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও ৪বারের সফল উপজেলা চেয়ারম্যান ও বকশীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি আব্দুর রউফ তালুকদার।
দীর্ঘদিন স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য পরিচিত এই অভিজ্ঞ নেতা আব্দুর রউফ তালুকদার এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বকশীগঞ্জ উপজেলা সদরের একটি সমাবেশে হাজারো সমর্থকদের সামনে তিনি প্রার্থী হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
এ সময় তার সমর্থকদের ঢাক-ঢোল, শ্লোগান ও উৎসবমুখর পরিবেশে পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে। তিনি জামালপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাবেক এমপি ও বিএনপি কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতের সাথে লড়বেন।
জানা যায়, বকশীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাবেক বিএনপি সভাপতি ও ৪বারের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ তালুকদার সাবেক আইজিপি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কাইয়ুমের পক্ষে বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু তার বিপরীতে জামালপুর-১ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেন বিএনপি সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতকে। তারই ক্ষোভে নিজের জনপ্রিয়তার দিকে লক্ষ্য করে নিজেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন আব্দুর রউফ তালুকদার।
ঘোষণার সময় তিনি বলেন, ‘জনগণ আমাকে ৪বার ভোট দিয়ে উপজেলা পরিষদের দায়িত্ব দিয়েছে। উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সেবামুখী কার্যক্রমে আমি সবসময় জনগণের পাশে ছিলাম। এবারও জনগণের প্রত্যাশা ও এলাকার উন্নয়ন লক্ষ্য করেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দলীয় প্রতীকের বাইরে থেকেও মানুষ আমাকে ভালোবাসে এটাই আমার শক্তি।’
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘তার স্বতন্ত্র প্রার্থিতা জামালপুর-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও হাড্ডাহাড্ডি করে তুলবে। দীর্ঘদিন এলাকায় জনপ্রিয়তা, যোগাযোগ এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি ভোটের মাঠে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ’ হয়ে উঠতে পারেন।’
সমাবেশে উপস্থিত বিভিন্ন ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ বলেন, ‘দলের লোক না, মানুষকে দেখে কাজ করেন বলেই তাকে সমর্থন করি। সমর্থকদের অনেকেই জানায়, তার নেতৃত্বে এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সড়ক ও যোগাযোগ এবং স্বাস্থ্যসেবায় দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে।
এদিকে দলীয় প্রার্থীদের শিবিরে তার ঘোষণাকে ঘিরে নানান আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, ‘তার স্বতন্ত্র অংশগ্রহণ ভোটের সমীকরণ বদলে দিতে পারে।’
প্রার্থী ঘোষণার পর উপজেলা শহর জোরে আনন্দ মিছিল করেন সমর্থকরা।
এছাড়া প্রার্থীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খুব শিগগিরই তারা ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা, ইশতেহার প্রকাশ ও গণসংযোগ কর্মসূচি শুরু করবেন।
কেকে/বি