সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. কাউছার বিদ্যালয়ে হামলা, গেট ভাঙচুর, মালামাল আটকে রাখা এবং শিক্ষক ও কর্মচারীদের হেনস্তা করা, এমন অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। তাকে ‘শিক্ষার শত্রু’ আখ্যা দিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) পঞ্চমীঘাট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া লিটন।
তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি বাহিনী নিয়ে এসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাণ্ডব চালায়, সে সমাজের কল্যাণে নয় ধ্বংসাত্মক শক্তির অংশ। কাউছারসহ যারা এই হামলার সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতেই হবে।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বিদ্যালয়ের শান্ত পরিবেশ নষ্ট করতে এ ধরনের সন্ত্রাসী আচরণ ক্ষমার অযোগ্য। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে পড়েছে। এমন ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি ছাড়া শিক্ষার পরিবেশ রক্ষা সম্ভব নয়।’
সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি যুগ্ম সম্পাদক ও সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি কামরুজ্জামান ভূঁইয়া মাসুম ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘বিদ্যালয়ে হামলা মানে পুরো সমাজকে আঘাত করা। কাউছার নামের ওই ব্যক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে, তা কোনোভাবেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নয় এটা সরাসরি অপরাধ। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা ছাড়া উপায় থাকবে না।’
প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপি সিনিয়র সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন, সহ-সভাপতি অধ্যাপক ইব্রাহিম মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, রফিকুল ইসলাম, যুব সম্পাদক এডভোকেট আল আমিন শাহ, এডভোকেট আনোয়ার হোসেন, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি নাসির উদ্দীন, ৮ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি শামসুল আলম, যুবদল নেতা আওলাদ হোসেন, সাবেক অভিভাবক সদস্য নাজিমউদ্দীন, এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকসহ স্থানীয় শতাধিক মানুষ।
বক্তারা একসঙ্গে ঘোষণা দেন, ‘শিক্ষার শত্রু কাউছারকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলার সাহস না পায়।’
কেকে/বি