বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫,
১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
বাংলা English
ই-পেপার

বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম: বৃহস্পতিবারের উল্লেখযোগ্য সাত সংবাদ      ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’      নির্বাচনে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী : ইসি সচিব      ৪৫তম বিসিএস নন-ক্যাডারের ফল প্রকাশ, সুপারিশ পেলেন ৫৪৫ জন      বন বিভাগে সুফল প্রকল্পে দুর্নীতি, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার দাম্ভিকতা      ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত হলে কৃষি অর্থনীতি টেকসই হবে : কৃষি সচিব      ধর্মের অপব্যাখ্যা করে বিশৃঙ্খলা তৈরির সুযোগ দেয়া হবে না : ধর্ম উপদেষ্টা      
খোলাকাগজ স্পেশাল
জাতীয় পার্টির লক্ষ্য জোটবদ্ধ নির্বাচন
খোলা কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:০৪ এএম
ছবি : খোলা কাগজ

ছবি : খোলা কাগজ

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি, জামায়াত কিংবা এনসিপির মতো দলগুলো যখন নির্বাচনি মাঠে ব্যস্ত, তখন ভোটে অংশ নেওয়া নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় জাতীয় পার্টি। তবে অনিশ্চয়তা থাকলেও এরই মধ্যে ভেতরে ভেতরে প্রার্থী বাছাই ও নির্বাচনি প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে দলটি। তারা বলছে, শেষ পর্যন্ত যদি ভোটে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ মেলে, তাহলে জোরেশোরে মাঠে নামবে তারা। 

দলটির ইচ্ছা- এককভাবে নির্বাচনের চাইতে জোটগতভাবে ভোটে অংশ নেওয়া। সে ক্ষেত্রে বিএনপি কিংবা জামায়াত যে কোনো একটি দলের সঙ্গে জোটে যেতেও আগ্রহী দলটি। 

জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার এক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিলে সে ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টিরও যেমন আসন সংখ্যা বাড়বে, তেমনি যে দলের সঙ্গে জোট হবে তাদেরও আসন ও ভোট বাড়বে।’ দলটি মনে করছে নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে এখনো যে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে সেটি হয়তো তফসিল ঘোষণার পর কেটে যাবে। তখনই জোটের বিষয়ে আলোচনার উদ্যোগ নেবে দলটি। 

জাতীয় পার্টির নির্বাচনি প্রস্তুতি : ডিসেম্বরেই ঘোষণা করার কথা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল। এই নির্বাচন সামনে রেখে এরই মধ্যে বিএনপি ও জামায়াত বিভিন্ন আসনে প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে। এই দল দুটির প্রার্থীদের প্রচারণায় জমে উঠেছে মাঠের রাজনীতি। অন্যদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টিও দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছে। শিগগির দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার কথা জানিয়েছে তারা। 

গণ-অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের মতো কার্যক্রম নিষিদ্ধ বা নিবন্ধন স্থগিত না হলেও রাজনীতির মাঠে গত ১৪ মাস ধরে অনেকটাই কোণঠাসা জাতীয় পার্টি। অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে একটি মাত্র বৈঠকে অংশ নিলেও পরে ঐকমত্য কমিশন কিংবা সরকারের সঙ্গে কোনো ধরনের বৈঠকে আমন্ত্রণ পায়নি দলটি। 

সরকার যেহেতু দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেনি কিংবা নির্বাচন কমিশনও দলটির নিবন্ধন বাতিল করেনি সে কারণে এরই মধ্যে নির্বাচন প্রস্তুতি শুরু করেছে। দলটির নেতারা বলছেন, নির্বাচন সামনে রেখে এরই মধ্যে ৩০০ আসনেই প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে। কোনো কোনো আসনে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্তও করা হয়েছে। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলীয় চেয়ারম্যান জিএম কাদের। 

জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার বলেন, প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পার্টির চেয়ারম্যান অনেকের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমাদের একটা ছক করা আছে কোন আসন থেকে কে ভোট করতে পারেন। এ নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি আছে। প্রার্থী ঘোষণা করতে আমাদের খুব বেশি সময় লাগবে না। আপাতত ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুত রাখা হলেও শেষ পর্যন্ত ভোটে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেলে সব আসনে প্রার্থী না দেওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন দলের নেতারা। 

শামীম হায়দার বলেন, প্রাথমিকভাবে ৩০০ আসনেরই প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় পার্টি। সেটি একটা পর্যায়ে পৌঁছালে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কতগুলোতে ভোট করব আমরা। 

টার্গেট জোটবদ্ধ নির্বাচন : ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে ২০২৪ সালের নির্বাচন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সঙ্গে কখনো জোটবদ্ধ, কখনো বা আসন সমঝোতা করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আসছিল জাতীয় পার্টি। এসব ভোটে কখনো বিরোধী দলের ভূমিকায়, আবার কখনো সরকারে থেকেই বিরোধী দল ছিল জাতীয় পার্টি। যে কারণে ২০২৪ সালের পাঁচই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর জাতীয় পার্টিও দেশের রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়ে। এমন অবস্থায় আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টিও যে অনিশ্চিত সেটিও মানছেন জাতীয় পার্টির নেতারা। 

সম্প্রতি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ কিংবা প্রেস রিলিজে জাতীয় পার্টিকে রাজনীতি ও নির্বাচনে সুযোগ দেওয়ার দাবিও জানাতে দেখা গেছে দলের নেতাদের। জাতীয় পার্টির নেতারা মনে করছেন, শেষ পর্যন্ত তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে দলটির আগ্রহ একক নির্বাচন না করে জোটগত ভোটে অংশ নেওয়া। সম্প্রতি যখন জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দারের সঙ্গে কথা হচ্ছিল তখন জোটবদ্ধ ভোট করার আগ্রহের কথা জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই। 

কোন্দলের সুযোগ নিচ্ছে ইসি : দেশের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি দলটি সবচেয়ে বেশিবার ভাঙাগড়ার মধ্য দিয়ে গেছে। বিভিন্ন নামে জাতীয় পার্টির নতুন নতুন দল তৈরি হলেও মূল অংশ ছিল প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের কাছে। 

গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পর চলতি বছরের ৯ আগস্ট আরেক দফায় ভাঙে জাতীয় পার্টি। দলীয় চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ চেয়ারম্যানপন্থিদের বাদ দিয়ে কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করেছে জাতীয় পার্টির একটি অংশ। 

জিএম কাদের অংশকে বাদ দিয়ে ঢাকায় কাউন্সিল করে ওই অংশ আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে এই অংশের চেয়ারম্যান করা হয়। দলের শীর্ষ ও সিনিয়র নেতাদের নিয়ে গঠিত ওই অংশ কাউন্সিলের পরই নির্বাচন কমিশনের কাছে নিজেদেরকে মূল জাতীয় পার্টি দাবি করে তাদের অধীনে দলীয় লাঙল প্রতীক দেওয়ার দাবি জানায়। আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণের বিষয়টি সেই প্রশ্নেও আটকে আছে। 

এই অংশের নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা আইন বিধি-বিধান ফলো করে কাউন্সিল করে ইসির কাছে সব তথ্য জমা দিয়েছি। আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বে আমরাই মূল জাতীয় পার্টি। ‘লাঙ্গল’ প্রতীকও থাকবে আমাদের কাছে।’ 

যে কারণে, আগামী নির্বাচনে মি. মাহমুদের এই অংশই চাচ্ছে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে। একদিকে মাঠের রাজনীতিতে কোণঠাসা, অন্যদিকে দলীয় এই কোন্দলের বিষয়টিকেই গুরুত্ব দিয়ে দেখছে নির্বাচন কমিশন।

কেকে/এআর
আরও সংবাদ   বিষয়:  জাতীয় পার্টি  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

বৃহস্পতিবারের উল্লেখযোগ্য সাত সংবাদ
তরুণ, যুব ও মেধাবী ছাত্র সমাজকে রক্ষায় সুস্থ সংস্কৃতি জরুরি: রায়হান সিরাজী
৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’
চালাক ছাত্রী

সর্বাধিক পঠিত

নাগেশ্বরীতে ১০ টাকার স্বাস্থ্য সেবা চালু
চাঁদপুর-২ আসনে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা রয়েছে: তানভীর হুদা
দুই ট্রলারসহ সেন্টমার্টিনে ১২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
গাজীপুরে রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী
এশিয়ান টাউনস্কেপ অ্যাওয়ার্ডসে সম্মাননা পেল রাজউক
সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2025 Kholakagoj
🔝
close