ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় পিঠার দোকান বসেছে। ঘরে ঘরে পিঠা বানানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ভোরের হালকা ঠান্ডা বাতাস এবং কুয়াশায় শীতের আগমনী বার্তা দিচ্ছে। ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, পাটিসাপটা এবং অন্যান্য পিঠার স্বাদের জন্য শীতকালকে উৎসবের মৌসুম বলা হয়।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ফরিদপুর শহরের কিছু এলাকায় দেখা মিলেছে শীতের পিঠার দোকান।
এছাড়া শহরের কিছু এলাকায়, পাড়া ও মহল্লার অলি-গলিতে ও বিভিন্ন সড়কে ভ্যানে চুলা বসিয়ে আবার কোথাও অস্থায়ী দোকান বসিয়েও বিক্রি হচ্ছে শীতের পিঠা। ব্যস্ত এই শহরের চলতি পথে কর্মজীবী থেকে নানা ধরনের মানুষ সেখান থেকে পিঠা কিনে খাচ্ছেন, আবার কেউ কিনে বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে পিঠা বিক্রি করতে ফরিদপুরে মৌসুমি বিক্রেতাদেরও আগমন ঘটেছে । পিঠা তৈরি ও বিক্রি করতে রাস্তার পাশে খোলা আকাশের নীচে চুলা নিয়ে বসেছেন। অনেকে অস্থায়ীভাবে তৈরি করে নিয়েছেন খুপড়ি ঘর। এসব দোকানে চিতই এবং ভাপা পিঠার বিক্রি চলছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিঠা বিক্রেতা বলেন, প্রতিটি চুলায় একটি সাচে পাঁচটি করে চিতই পিঠা তৈরি করতে পারি। প্রতিটি পিঠা ৫ টাকা থেকে ১০ টাকায় বিক্রি করি। পিঠার সঙ্গে থাকছে অনেক ধরনের ভর্তা। এর জন্য আলাদা কোনো টাকা দিতে হয় না।
শীতের পিঠা খেতে আসা লাবলু মিয়া বলেন, ‘এখন ও শীত শুরু হয়নি। তবে ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় পিঠা বিক্রেতারা পিঠার দোকান নিয়ে বসে আছে। ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে পিঠার দোকান দেখে লোভ সামলাতে পারি নাই। তাই পিঠার স্বাধ নিয়ে নিলাম।’
যান্ত্রিক শহরের ফুটপাথে পিঠার দোকানের সুবাদে আমরা শীতের পিঠার স্বাদ নিতে পারি।
কেকে/বি